পণ্য: আখরোট
ওজন: ২০০ গ্রাম
আখরোট আপনার মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং হৃদরোগ এবং ক্যানসার প্রতিরোধ করে। আখরোট ফাইবারে সমৃদ্ধ এবং ওমেগা-3-ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অন্যান্য খনিজ বস্তু এবং পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। মাঝারি পরিমাণে দৈনিক আখরোট সেবন করলে তা বিস্ময়কর পরিনাম দেখাতে পারে। যদিও, কিছু লোকের আখরোটে অ্যালার্জি থাকতে পারে।
আখরোট সাধারণত এক প্রকার বাদাম জাতীয় খাবার। বাদাম খেতে পছন্দ করেন যারা, তাদের কাছে পরিচিত নাম হলো আখরোট। এর ইংরেজি নাম ওয়ালনাট (Walnuts)। ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন ই সমৃদ্ধ আখরোটকে সুপারফুড ও বলা হয়ে থাকে।
এই ফলটি গোলাকার এবং ভেতরে একটি বীজ থাকে। পাকা ফলের বাইরের খোসা ফেলে দিলে ভেতরের শক্ত খোলসযুক্ত বীজটি পাওয়া যায়। এই খোলসের ভেতরে থাকে দুইভাগে বিভক্ত বাদাম যাতে বাদামি রঙের আবরন থাকে যা এন্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ।
যে ১০ কারণে রোজ খাবেন একমুঠো আখরোট!
১. স্মৃতিশক্তি বাড়াতে- স্মৃতিশক্তি বাড়িতে তুলতে সাহায্য করে আখরোট (walnut)। এতে থাকা ওমেগা থ্রি অবসাদ কাটাতেও সাহায্য করে। মস্তিষ্কের কোষের সজীবতা বজায় রাখতে সহযোগী হয়।
২. ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে- আখরোটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে, যা সুস্থ ত্বকের জন্য বিশেষ উপযোগী। ত্বকের বলিরেখা কমাতে এবং বয়সের ছাপ দূর করতে প্রতিদিন খান আখরোট (walnut)।
৩. ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে- চিকিৎসকরা বলেন যে, যে-কেনও ধরণের বাদামই ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে বিশেষত যাঁরা নিয়মিত আখরোট খান তাঁদের টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় অনেকটাই কম হয়।
৪. চুলের জন্য-আখরোট (walnut) এককথায় চুলের খাদ্য। আখরোটে থাকা বায়োটিন চুল স্ট্রেট করতে সাহায্য করে, চুল পড়া কমায় এবং চুলের গ্রোথ বাড়িয়ে তোলে।
৫. শরীরের পক্ষে উপকারী-শরীরের জন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খুবই জরুরি। শরীরে ঘুরে বেড়ানো ফ্রি র্যাডিক্যালস হার্টের উপর চাপ ফেলে। আখরোটে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস থাকে। এটি শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী।
৬. মহিলাদের জন্য ভালো-চিকিত্সকেরা জানাচ্ছেন, যে মহিলারা সপ্তাহে অন্তত পাঁচবার ৩০ গ্রাম করে আখরোট খান, তাঁদের টাইপ টু ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম। এই সমীক্ষা করেছে হার্ভার্ড স্কুল অফ পাবলিক হেলথ।
৭. পেট পরিষ্কার- পেট পরিষ্কার রাখতে শরীরে ফাইবার থাকা অত্যন্ত জরুরি। সাধারণত যে খাবারগুলি থেকে শরীরে প্রোটিন আসে, সেগুলিতে ফাইবারের পরিমাণ অত্যন্ত কম। আখরোটে থাকা ফাইবার হজমক্ষমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৮. স্ট্রেস কম-আখরোটে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি থাকে, যা চামড়াকে বুড়িয়ে যেতে বাধা দেয়। বলা হয় ভিটামিন বি হল স্ট্রেস রিলিভার ও মুড ম্যানেজার। স্ট্রেস কম থাকলে আপনার চামড়া উজ্জ্বল হবে। ভিটামিন বি-এর সঙ্গে ভিটামিন ই মিশে তা শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কাজ করে।
৯. শিশুর মস্তিস্কের বিকাশ-শিশুর মস্তিস্কের বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে- একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে আখরোটে থাকা ভিটামিন ই, মোলাটোন, ওমেগা ৩, এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে বিশেষভাবে সাহায্য করে। তাই ছোটবেলা থেকেই আপনার শিশুকে আখরোট খাওয়ানো অভ্যাস করুন।
১০ ওজন নিয়ন্ত্রণ করে- বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, নিয়মিত আখরোট খেলে ওজন কিন্তু নিয়ন্ত্রণে থাকে। কারণ এতে রয়েছে ওমেগা ৩, প্রোটিন এবং ফাইবার, যা দেহের ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই আপনি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাহলে অবশ্যই আখরোট খান।
আখরোটের পুষ্টিগুণ
আখরোট অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ বাদাম। প্রতি ১০০ গ্রাম আখরোটে ১৫.২ গ্রাম প্রোটিন, ৬৫.২ গ্রাম স্নেহ পদার্থ এবং ৬.৭ গ্রাম ফাইবার থাকে। এছাড়া ভিটামিন থাকে ২০ IU, ক্যালসিয়াম ৯৮ মি.গ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ১৫৮ মিগ্রা, পটাসিয়াম ৪৪১ মিগ্রা, জিংক ৩.০৯ মিগ্রা। এর প্রোটিনের মধ্যে অনেকগুলো অত্যাবশ্যকীয় অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে।
আখরোটের উপকারিতা
আখরোট এমন এক প্রকার বাদাম যার মধ্যে পুষ্টিগুণ রয়েছে ভরপুর। শরীরের হাজারও সমস্যা দূরে রাখতে চিকিৎসকরা তাই আখরোট (walnut) খাওয়ার পরামর্শ দেন।
১. আখরোট স্মৃতিশক্তি বাড়ায়: স্মৃতিশক্তি বাড়িতে তুলতে সাহায্য করে আখরোট। এতে থাকা ওমেগা থ্রি অবসাদ কাটাতেও সাহায্য করে। মস্তিষ্কের কোষের সজীবতা বজায় রাখতে সহযোগী হয়।
২. আখরোট হৃদযন্ত্র ভালো রাখে: আখরোটে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের জন্য উপকারী। প্রতিদিন কয়েকটি করে আখরোট খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এটি শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল হ্রাস করে এবং ভালো কোলেস্টেরলের বাড়াতে সাহায্য করে।
৩. আখরোট ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে: আখরোটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে, যা সুস্থ ত্বকের জন্য বিশেষ উপযোগী। ত্বকের বলিরেখা কমাতে এবং বয়সের ছাপ দূর করতে প্রতিদিন আখরোট খাওয়া প্রয়োজন।
৪. আখরোট গর্ভস্থ শিশুর জন্য উপকারি: আখরোট মাতৃগর্ভে থাকা শিশুর জন্য অনেক উপকারি। গর্ভবতী মায়েরা আখরোট খেলে এতে থাকা পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড গর্ভের শিশুর এলার্জির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
৫. আখরোট ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে: চিকিৎসকরা বলেন যে, যে-কেনও ধরণের বাদামই ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে বিশেষত যাঁরা নিয়মিত আখরোট খান তাঁদের টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় অনেকটাই কম হয়।
৬. আখরোট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়: আখরোটে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, পলিফেনলস এবং ইউরোলিথিন অ্যান্টি-ক্যান্সার বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ। তাই স্তন, কোলন এবং প্রোস্টেট রোধে বড় ভূমিকা রাখে আখরোট। আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর ক্যান্সার রিসার্চ জানিয়েছে আখরোট খেলে তা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
৭. আখরোট মানসিক চাপ কমায়: আখরোটে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি থাকে, যা চামড়াকে বুড়িয়ে যেতে বাধা দেয়। বলা হয় ভিটামিন বি হল স্ট্রেস রিলিভার ও মুড ম্যানেজার। স্ট্রেস কম থাকলে ত্বকের চামড়া উজ্জ্বল হয়। ভিটামিন বি-এর সঙ্গে ভিটামিন ই মিশে তা শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কাজ করে।
৮. আখরোট শিশুর মস্তিস্কের বিকাশ করে: শিশুর মস্তিস্কের বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে- একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে আখরোটে থাকা ভিটামিন ই, মোলাটোন, ওমেগা ৩, এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে বিশেষভাবে সাহায্য করে। তাই ছোটবেলা থেকেই আপনার শিশুকে আখরোট খাওয়ানো অভ্যাস করুন।
৯. আখরোট হাড় মজবুত করে: আখরোটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম। এটি শরীরের হাড় মজবুত করতে খুবই উপকারি। ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যা না থাকলে ৩০ এর বেশি বয়সী মহিলাদের জন্য হাড় মজবুত রাখতে এটি অনেক উপকারি।
১০. আখরোটে ভালো ঘুম হয়: এ ছাড়াও পটাশিয়াম, জিঙ্ক, ক্যালশিয়াম, আয়রনে ঠাসা আখরোট হজনশক্তিকে বাড়িয়ে দিতে সুবিধা করে দেয়। আর উন্নত হজমশক্তি ভালো ঘুমে সাহায্য করে। সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আখরোট খেলে ভালো ঘুম হয়।
আখরোটের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া
যেকোনো খাবারই প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক নয়। নয়তো শরীরে পুষ্টি উপাদানগুলোর ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। তাই অন্যান্য খাবারের মতোই আখরোটও পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়া উচিত, বেশি পরিমাণে আখরোট খেলে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন-
- অ্যালার্জি হতে পারে।
- লিভারের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- কালো আখরোটে থাকা ফাইটেটস শরীরের আয়রন শুষে নেয়। ফলে বেশি পরিমাণে কালো আখরোট খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা যেতে পারে।
- যাদের বাদামে এলার্জি থাকে তাদের আখরোটেও এলার্জির সমস্যা হতে পারে।
আখরোট খাওয়ার নিয়ম
আখরোট খাওয়ার সাধারণত কোন নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। যেকোন সময় যেকোনোভাবে খাওয়া যেতে পারে এটি।
তবে বিশেষজ্ঞরা আখরোট পানিতে ৫-৬ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে খাওয়ার পরামর্শ দেন। এ নিয়মে খেলে সঠিক পরিমাণে পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়।
এছাড়া দুধ বা মধুর সাথে মিশিয়ে খেলেও এর পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়।
অনেকে আবার তেল ছাড়া হালকা ভেজে খেয়ে থাকেন সন্ধ্যার নাস্তা হিসেবে।