পণ্য: নোনতা এবং ভাজা কাজুবাদাম
ওজন: ২০০ গ্রাম
কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
বাদামমাত্রই তা শরীরের জন্য উপকারী। খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি বাদামে থাকা স্বাস্থ্যগুণ সহজেই শরীরের অনেক সমস্যা দূর করে। আর তা যদি হয় কাজুবাদাম, তাহলে তো কথাই নেই।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, কাজুবাদামে রয়েছে ফাইবার, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, জিঙ্ক, কপারের মতো কিছু উপকারী উপাদান। এ ছাড়াও ভিটামিন কে, ভিটামিন বি৬-এর মতো খাদ্য উপাদানও রয়েছে কাজুবাদামে। তাই শরীরের অনেক সমস্যাসহ যারা ওজন কমাতে ডায়েট করছেন, তাদের নিয়মিত খাবারে এ কাজুবাদাম থাকাটা জরুরি।
পুষ্টিবিদরা জানান, পর্যাপ্ত পুষ্টিগুণ পেতে হলে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে কাজুবাদাম। দুধের সঙ্গে মিশিয়ে কাজু খেলে যেসব উপকার পাওয়া যাবে–
কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
হাড় মজবুত করে: রাতে দুধের সঙ্গে ভিজিয়ে রাখবেন কাজু। সারা রাত দুধে ভিজিয়ে রাখা কাজু সকালে খেলে বার্ধক্যে হাড়ের ক্ষয় নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। কাজু এবং দুধ দুটোতেই রয়েছে ভিটামিন কে, মিনারেলস, ভিটামিন বি৬, যা হাড়ের ক্ষয় রোধ করে পেশির ব্যথা, যন্ত্রণাও উপশম করে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা:
যারা দীর্ঘদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য দুধে ভেজানো কাজু হতে পারে এক মহৌষধ। কাজুতে রয়েছে ফাইবারের মতো উপাদান, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে পেটের সমস্যার সমাধানও করে থাকে।
রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি:
ফাস্টফুডজাতীয় খাবার, অনিয়ম, বিরূপ আবহাওয়াসহ নানা কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যাচ্ছে। রোগের সঙ্গে লড়াই করতে বাড়াতে হবে প্রতিরোধক্ষমতা। এ জন্য ভরসা রাখতে পারেন দুধে ভেজানো কাজুবাদামের ওপর।
কাজুতে ভিটামিন ও মিনারেলস প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। তাই শরীরের প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত খেতে পারেন দুধে ভেজানো কাজুবাদাম।
রক্তের সমস্যা দূর:
কাজুবাদামে কপার বা তামা থাকে, যা রক্তরোগ দূর করে। রক্তে কপারের অভাব হলে লৌহ স্বল্পতাও দেখা দিতে পারে, যা রক্তশূন্যতা সৃষ্টি করে। দুধে ভেজানো কাজুবাদাম খেলে সে সমস্যা দূর হয়।
কাজু খাওয়ার এই ৬টি উপকার জানলে অবাক হয়ে যাবেন! রোজ খেলে কতগুলি খাবেন?
Benefits of Cashews: ওজন কমাতে, চোখ ভালো রাখতে, ক্যান্সার রোধ করতে, হার্ট ভালো রাখতে ও ত্বকের যৌবন ধরে রাখতে কাজুর কোনও বিকল্প নেই। কীভাবে শরীর ভালো রাখতে সাহায্য করে কাজু? প্রতিদিন কতগুলি কাজু খাওয়া যেতে পারে? জানুন...
সুস্বাদু স্বাদের কারণে সারা বিশ্বে কাজু Cashews) সকলের প্রিয় খাবার। বহু ভারতীয় রান্নায় স্বাদবর্ধক হিসেবে কাজু ব্যবহৃত হয়। তবে শুধু তরকারি নয়, ভারতীয় নানা মিষ্টির ঐতিহ্যবাহী উপাদান হল কাজু (Kaju)। এমনকী জন্মদিনের পায়েসও কাজু ছাড়া অসম্পূর্ণ থেকে যায়। যে কোনও পদে স্বাদের সঙ্গে সুবাসও যোগ করে কাজু। তাই ভারতীয় রান্নাঘরে কাজুর দেখা মেলেই। কাজুর পাশাপাশি আখরোটও যথেষ্ট জনপ্রিয় এবং উপকারী। তবে কাজু সারা বছরই প্রায় পাওয়া যায়। দামও মধ্যবিত্তের আয়ত্তের মধ্যে। তাই একটি পুষ্টিকর উপাদান হিসেবে কাজু বেশি ব্যবহৃত হয়। কাজুর বহু স্বাস্থ্যগুণ (Health Benefits) রয়েছে। তাই আপনার খাদ্যতালিকায় কাজু অবশ্যই যোগ করা উচিত। তবে মুঠো মুঠো কাজু খেলে চলবে না। খেতে হবে ৪ থেকে ৫টি কাজু। তাতেই হবে কামাল।
- ওজন কমাতে
প্রচলিত ধারণা অনুসারে যে কোনও বাদাম ওজন বাড়ায়! হ্যাঁ, বাদামে প্রচুর ফ্যাট থাকে। তাই বেশিমাত্রায় বাদাম খেলে ওজন বাড়ে। তবে নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় বাদাম খেলে তা ওজন কমাতে সাহায্য করে। বিশেষত যাঁরা নিয়মিত কাজু বাদাম খান তাদের ওজন কিন্তু ঝরতে শুরু করে। কাজু এবং অন্যান্য বাদামে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এই উপকারী ফ্যাট বিপাকক্রিয়ার হার বাড়ায়। ফলে শরীরে জমে থাকা ফ্যাট বার্ন করা সহজ হয়। তাছাড়া কাজু একবার খেলে দীর্ঘসময় পেট ভরে থাকার অনুভূতি দেয়। ফলে উলটোপালটা খাবার খাওয়ার দরকার পড়ে না। শরীরে মাত্রাতিরিক্ত ক্যালোরিও প্রবেশ করে না। ফলে ওজনও বাড়ে না।
- ত্বকের জন্য
কাজুতে রয়েছে তামা এবং পর্যাপ্ত মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তামা ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের কোষের ধ্বংস হওয়া রোধ করে। ফলে নিয়মিত কাজু খেলে চেহার হয় উজ্জ্বল। এছাড়া কাজু বীজ থেকে প্রস্তুত কাজু তেলও ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কাজু তেলে সেলেনিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন এবং ফসফরাস প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। এছাড়া রয়েছে প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইটোকেমিক্যালস যা ত্বকের টানটান ভাব ধরে রাখতে সাহায্য করে। সহজে বলিরেখা আসতে দেয় না। ত্বক রাখে টানটান।
- চোখের জন্য
কাজুতে রয়েছে লুটেইন নামে উপকারী উপাদান। এছাড়া রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। দু’টি উপাদানই বিভিন্ন ধরনের ক্ষতির হাত থেকে চোখকে রক্ষা করে। দৃষ্টিশক্তিও উজ্জ্বল করে। এছাড়া কাজুতে রয়েছে বিশেষ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জিয়াজ্যান্থিন যা চোখের ম্যাকুলা অংশের ক্ষয় রোধ করে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির ফিল্টার হিসেবে কাজ করে সূর্যের রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আপনার চোখকে রক্ষা করে।
- মাইগ্রেন
ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতিতে শরীরে দেখা দিতে পারে একাধিক অসুখ। নিয়মিত কাজু খেলে শরীরে ম্যাগনেশিয়ামের মাত্রায় ভারসাম্য আসে। কাজু ভিটামিন ই-এর একটি ভালো উৎস যা স্নায়ু কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। ফলে মাইগ্রেনের মতো মাথাব্যথার সমস্যা কমতেও সাহায্য করে।
- ক্যান্সার প্রতিরোধ
প্রোঅ্যান্থোসায়ানিডিনের উৎস হল কাজু। উপাদানটি এক ধরনের ফ্ল্যাভোনল যা শরীরে ক্যান্সার কোষের প্রতিলিপি তৈরিতে বাধা দেয়।
- হার্টের অসুখ প্রতিরোধে
কাজুতে রয়েছে মনোস্যাচুরেটেড এবং অসম্পৃক্ত চর্বি যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে রক্তনালীগুলিকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ফলে হার্টের সমস্যাও প্রতিরোধ করা যায়।
তাহলে আর দেরি না করে খেতে শুরু করুন কাজু!