- আমন চালের পুষ্টি উপাদানএই ধরনের চালে বিদ্যমান রয়েছে নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান। তন্মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানগুলো হলো শর্করা, ফাইবার, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, আয়রন, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ম্যাংগানিজ ও সেলেনিয়াম ইত্যাদি। সকল পুষ্টি উপাদানেরই আমাদের দেহে আলাদা আলাদা ভূমিকা রয়েছে। তবে চাল বা ভাতের থেকে আমরা সবচেয়ে বেশি পরিমানে যেটি পাই সেটি হলো শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট। চালের ভ্যারাইটি আলাদা হওয়ার কারনে এতে শর্করার পরিমাণের তারতম্য ঘটে।যেমন সাদা চালে ফাইবার বা আঁশের পরিমাণ অনেক কম কিন্তু লাল আমন চালে ফাইবারের পরিমান ন্যাচারালি বেশি থাকে। কোন খাবারে কি পরিমান শর্করা আছে এবং তা কত দ্রুত ব্লাড সুগারকে বাড়িয়ে দিতে পারে– এই বিষয়টিকে বলা হয় গ্লাইসেমিক ইনডেক্স। যে খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যত কম সেই খাবার খাওয়া তত বেশি নিরাপদ। কারন গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি মানে চিনির পরিমান বা গ্লুকোজের পরিমান বেশি। আর গ্লুকোজের পরিমান যে খাবারে যত সেই খাবার তত বেশি শঙ্কাজনক। এই হিসেবে লাল চালের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক কম। সাদা চালের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যেখানে ৭০ সেখানে লাল চালের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স মাত্র ৫৫। সুতরাং, নিঃসন্দেহে বলা যায় লাল চাল আমাদের দেহের জন্য আসলেই উপকারী। লাল চালের উপকারিতা
হজম প্রক্রিয়াতে লাল চালে ফাইবার বা আঁশ থাকে। ...
ব্লাড সুগার বেড়ে যাওয়া রোধে চালে শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট থাকে। ...
হৃৎপিণ্ডের সুস্থতায় ...
দীর্ঘমেয়াদি রোগ প্রতিরোধে ...
ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ ...
শর্করা ...
ফাইবার ও সুগার ...
প্রোটিন
বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ। এখানে বেশিরভাগ কৃষকই কম বেশি ধান চাষ করে থাকেন। আমাদের দেশে কয়েক ধরনের ধান উৎপন্ন হয়। তবে সবচেয়ে বেশি উৎপন্ন হয় আমন ধান। আমন ধান থেকে যে চাল তৈরী করা হয় সেটিই আসলে আমন চাল। এই ধান সাধারণত নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে ঘরে তোলা হয়। যা সারা বছর খাওয়া কিংবা বিক্রি করা হয়।
লাল চালের স্বাস্থ্য উপকারিতা
মজার বিষয় হল, মানুষের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির সাথে সাথে লাল চাল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং এটি শুধুমাত্র এর অসংখ্য স্বাস্থ্য সুবিধার কারণে। প্রায় 40,000 ধরনের ধান আছে; কিন্তু আমরা মাত্র কয়েক ধরণের চালের সাথেই পরিচিতও। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এখন লাল চালের বেপক চাহিদা বেড়েছে এর গুণাবলীর জন্য।
লাল ভাত দিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
লাল চাল ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। লাল চালের কম গ্লাইসেমিক সূচক রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং ডায়াবেটিস রোগীদের উপকার করে। তা ছাড়াও, কয়েকটি অতিরিক্ত প্রাকৃতিক উপাদান স্বাস্থ্যকর চিনির মাত্রা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
লাল ভাত খেলেও অ্যাজমা প্রতিরোধ করা যায়।
এই চালের বৈকল্পিক সম্পর্কে সবচেয়ে ভাল জিনিস হল এটি পালমোনারি ফাংশন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এই চালে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম থাকায় এর নিয়মিত সেবন অক্সিজেনের উন্নতি ঘটাতে পারে।
অক্সিজেন খরচ বাড়ায়
লাল চাল, যা আয়রন বেশি, অক্সিজেন শোষণ এবং শরীরের সমস্ত টিস্যু এবং কোষে বিতরণে সহায়তা করতে পারে। তদ্ব্যতীত, শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি আপনার মেজাজকে বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং আপনাকে আরও উদ্যমী বোধ করতে পারে।
লাল চাল হজমে সাহায্য করে
লাল চালে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে এবং এটি বিভিন্ন হজমের কাজে সাহায্য করতে পারে। লাল চাল, উচ্চ দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় ফাইবার, শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে এবং মলত্যাগে সহায়তা করতে পারে। উপরন্তু, এটি একটি প্রকৃতি হিসাবে কাজ করে
আপনি যদি আরও স্বাস্থ্যকরভাবে কার্বোহাইড্রেট পেতে চান তবে এখনই লাল চাল খাওয়া শুরু করুন।