ব্রণ দূর করে, স্কিনে আনে সোনালী আভা।
- ত্বকের যেকোনো দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
- গভীর থেকে ত্বক উজ্জ্বল করে।
- ত্বকের ক্ষত সারাতে কাজ করে।
- বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে।
- সর্দি-কাশিতে খুব উপকার করে কাঁচা হলুদ।
- রূপটানের কথা উঠলে একদম প্রথমদিকেই থাকবে হলুদের নাম। এমনিতেই যে কোনও উৎসবে পার্বণ হলুদ ছাড়া অত্বকসম্পূর্ণ থেকে যায়। রূপচর্চার দুনিয়াতেও চিরকাল হলুদ রাজত্ব করে এসেছে। মুখের নিষ্প্রাণ বিবর্ণভাব কাটিয়ে সতেজ উজ্জ্বলতা এনে দিতে, মুখের কালো দাগছোপ হালকা করতে, ব্রণ-ফুসকুড়ি নির্মূল করার কাজে, মুখের যে কোনও প্রদাহ কমাতে হলুদের ব্যবহার বহু প্রাচীন। সমস্যা হল, শুধু কাঁচা হলুদ মুখে মাখলে ত্বক ভীষণ হলদে দেখায়, তাই তার সঙ্গে যদি মেশাতে পারেন বেসন বা চন্দন, তা হলে ফেসপ্যাকের কার্যকারিতা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তেলতেলেভাব কাটিয়ে আর ত্বকের আর্দ্রতা বাড়িয়ে তুলে ত্বক কোমল, উজ্জ্বল রাখতে তাই বেছে নিন হলুদ দিয়ে তৈরি কিছু দুর্দান্ত ফেসপ্যাক।
ব্রণ কমান হলুদ দিয়ে
আপনার দরকার দু’ টেবিলচামচ পরিমাণ কাঁচা হলুদ গুরা, এক টেবিলচামচ পরিমাণ বেসন অথবা চালের গুঁড়ো, দু’ টেবিলচামচ টক দই বা দুধ (তেলতেলে ত্বক হলে) অথবা অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল বা আমন্ড অয়েল (শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে) আর এক টেবিলচামচ মধু। সমস্ত উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। মুখে সমান করে মেখে 15 থেকে 20 মিনিট রাখুন, তারপর ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মুখ ধোওয়ার পর প্রথমে টোনার আর সব শেষে ময়শ্চারাইজ়ার অবশ্যই লাগাবেন।
ত্বকের প্রদাহ কমাতে হলুদ
যাঁদের ত্বক সেনসিটিভ, তাঁদের একটুতেই মুখে জ্বালা করে, ত্বক লালচে হয়ে যায়। হলুদের প্যাক প্রদাহ কমিয়ে ত্বক শীতল রাখতে পারে। এক চাচামচ পরিমাণ হলুদ গুরার সঙ্গে আধ চাচামচ পরিমাণ অ্যালো ভেরা জেল আর এক চাচামচ গোলাপজল মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটা ঘন হবে না, বরং বেশ তরলই থাকবে। মুখে আলতো করে লাগিয়ে নিন। 10 মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি লাগালে মুখে সামান্য হলদেটে ভাব আসতে পারে। তা না চাইলে মিশ্রণটিতে কয়েকফোঁটা অলিভ বা নারকেল তেল মিশিয়ে নিতে পারেন।
কোমল উজ্জ্বল রাখুন হলুদ দিয়ে
মুখ খুব নিষ্প্রাণ ক্লান্ত দেখাচ্ছে? হাতের কাছে রাখুন হলুদ আর ময়দা। দু’ টেবিলচামচ ময়দা, এক চাচামচ হলুদ গুরা, এক টেবিলচামচ আমন্ড অয়েল আর তিন টেবিলচামচ দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে ক্রিমের মতো মসৃণ পেস্ট তৈরি করে নিন। মুখে লাগিয়ে মিনিট 15 রাখুন, তারপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
কাচা হলুদ গুড়া (Raw Turmeric Powder)
- কাঁচা হলুদ শরীরের মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। ...
- কাঁচা হলুদ ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।
- হলুদ পেট পরিষ্কার ও হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
- এতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান আমাদের হাড় ও হাড়ের কোষকে সচল রাখতে সাহায্য করে কাচা হলুদ গুঁড়া (Raw Turmeric Powder)
হলুদ প্রাচীন কাল থেকে রূপচর্চা, রান্না, ব্যথা নিবারণ ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি তরকারিতে ব্যবহার্য শুধু একটি মসলা নয়, ভেষজ ঔষধিগুণের কারণে এটি ওষুধ হিসেবেও করা হয়। হলুদে আছে কিছু বিশেষ উপাদান, যা শরীরের অনেক সমস্যার কার্যকরী সমাধান।
হলুদে,কার্কুমিন,অ্যান্টিইনফ্লামেশন,অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট,অ্যান্টিসেপটিক ব্যাকটেরিয়াল ও উপাদান আছে, যা আমাদের শরীরের অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারে, বিশেষ করে অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োজন এমন রোগের ক্ষেত্রে। এছাড়াও, কাঁচা হলুদ রুপচর্চার অন্যতম উপাদান হিসেবে সুধী সমাজের কাছে প্রসিদ্ধ।
কাঁচা হলুদ গুড়াউপকারিতা–
- কাঁচা হলুদ শরীরের মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। যা আমাদের শরীরে ফ্যাট বা চর্বি জমতে দেয় না ফলে আমাদের স্লিম রাখতে হলুদ খুব উপকার করে।
- কাঁচা হলুদ ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।
- হলুদ পেট পরিষ্কার ও হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
- এতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান আমাদের হাড় ও হাড়ের কোষকে সচল রাখতে সাহায্য করে।
- হলুদে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বিদ্যমান যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
- নিয়মিত পিরিয়ড নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।
- কাঁচা হলুদ নিয়মিত দুধের সাথে খেলে অনেক রোগ হতে মুক্তি পাওয়া যায়।
- কাঁচা হলুদ ত্বকে বা গায়ে ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন করে।
- খাদ্য পরিপাকে সহায়তা করে।
- দুধের সাথে নিয়মিত কাঁচা হলুদ মিলিয়ে খেলে ভেতর থেকে ত্বকের উজ্জ্বলতা ভাব আসে।
- রক্ত পরিষ্কার করতে কাঁচা হলুদ খুব উপকারি।
- এছাড়া ডায়ারিয়া রোগ নিরাময়েও হলুদ কার্যকরী।