পণ্য: সাদা মটরশুটি
ওজন: 250 gm
শিমের বিচিতে খাকা ভিটামিন বি হার্টের রোগ কমায়, ক্যান্সার ও জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধে সাহায্য করে। ১০০ গ্রাম শিমের বিচিতে আমিষ আছে ২৫ গ্রাম, যা গরুর মাংসের চেয়ে বেশি এবং মুরগির মাংসের প্রায় সমান। শিমের বিচি মানবদেহে রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণ করে এবং গ্লাইকোজেন সরবরাহ করে। এটি রক্ত পরিষ্কার করে।
শিমের বিচির উপকারিতা
শিমের বিচি কিংবা বিন পৃথিবীজুড়ে মানুষের অন্যতম প্রিয় খাবার। এ দেশে শীতে শিম পরিপক্ব হলে শিমের বিচি বাজারে ওঠে। এখন কোথাও কোথাও শিমের বিচি উঠলেও দাম বেশ চড়া। চট্টগ্রামসহ দেশের নানা এলাকার লোকজন শিমের বিচিকে খাইস্যাও বলে। শোল, মাগুর এসব জিওল মাছ ও বেগুন দিয়ে রান্না করা খাইস্যার তরকারি অপূর্ব। এতে রয়েছে প্রচুর আমিষ ও শর্করা। তাই শিমের বিচি শরীরে শক্তি জোগায়, পুষ্টির চাহিদাও মেটায়। আসুন জেনে নিই এর গুণাগুণ সম্পর্কে।
১০০ গ্রাম গরুর মাংসে ২২ দশমিক ৬ গ্রাম এবং মুরগির মাংসে রয়েছে ২৫ দশমিক ৯ গ্রাম আমিষ। অথচ ১০০ গ্রাম শিমের বিচিতে আমিষ আছে ২৪ দশমিক ৯ গ্রাম। অর্থাৎ শিমের বিচিতে আমিষের পরিমাণ গরুর মাংসের চেয়ে বেশি এবং মুরগির মাংসের প্রায় সমান। আমাদের দেশে শিশুসহ বয়স্ক ব্যক্তিদের অনেকেই আমিষের অভাবজনিত রোগ কোয়াশিওরকরে আক্রান্ত হয়। এর রোগে আক্রান্ত শিশুরা বাড়ে না, দেহের ক্ষয়পূরণ হয় না, কর্মক্ষমতা কমে গিয়ে হাত-পা শুকিয়ে যায়, পেট বড় হয়ে যায়। এ ছাড়া স্মরণশক্তি কমে যায় এবং পড়াশোনায় ও খেলায় নিস্পৃহভাব দেখা দেয়। শিমের বিচি দ্রুত এই রোগ থেকে মুক্তি দেয়।
সবজিভোজী মানুষজন মাছ-মাংস এড়িয়ে চলেন। অনেক ক্ষেত্রে তাঁদের শরীরে আমিষের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। শরীর হয়ে পড়তে পারে দুর্বল। ডালের মতোই শিমের বিচিতে প্রচুর উদ্ভিজ্জ আমিষ আছে। ফলে শিমের বিচি শরীরের আমিষের ঘাটতি পূরণে অনেকটাই সহায়ক হবে।
শিমের বিচিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে। ফলে হাড়ের ক্ষয়রোধে এটি ভূমিকা রাখে। শিমের বিচিতে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য আঁশ থাকায় এটি হজমে সাহায্য করে। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাও কমিয়ে আনে। সেই সঙ্গে এতে থাকা উপকারী চর্বি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড প্রদাহ দূর করে। মায়েদের গর্ভকালীন স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তা করে শিমের বিচি। এ ছাড়া এটি মায়ের বুকের দুধ বাড়ায়।
আপনি কি জানেন শিমের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে-না জানলে জেনে নিন
আসসালামু আলাইকুম। আজকে এই আর্টিকেলে শিমের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আলোচনা করা হয়। শিমের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অনেকের ধারণা নেই। আবার এই শিম অনেকে খেতে পছন্দ করে। শিম একটি পুষ্টিকর সবজি। এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাইলে নিচের পোস্টটি গুরুত্ব সহকারে সম্পূর্ণ পড়তে হবে।
তাই যাদের এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানা নেই তাদের জন্য এই পোস্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে। তাই কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে নেওয়া যাক শিমের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। এই সকল তথ্য জানার জন্য আমাদের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত থাকুন।
পেজ সূচিপত্রঃ শিমের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা
- ভূমিকা
- শিমের বিচির উপকারিতা
- শিমের বিচির অপকারিতা
- শুকনো শিমের বিচির উপকারিতা
- শিম খাওয়ার উপকারিতা
- শিম খাওয়ার অপকারিতা
- শিমের বিচি খেলে কি ওজন বাড়ে
- শিমের বিচিতে কোন ভিটামিন
- শিমের বিচি খাওয়ার নিয়ম
- লেখকের মন্তব্য বা শেষ কথা
ভূমিকা
শিম সবার কাছেই একটি জনপ্রিয় এবং পুষ্টিকর সবজি হিসেবে পরিচিত। এটি একটি শীতকালীন সবজি। বিধায় শীতকালে প্রচুর পরিমাণে দেখা যায়। শিম এবং শিমের বিচির পাশাপাশি শিমের পাতা শাক হিসেবে কিন্তু ব্যবহৃত হয়ে থাকে। শিমের বিচিতে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন সহ আয়রন, প্রোটিন, ফাইবার ইত্যাদি রয়েছে। শিমের বিচিতে কোলেস্টেরল নেই বললেই চলে। এই শিমের বিচি বিভিন্ন তরকারির সাথে রান্না করলে সেই তরকারির স্বাদ বেড়ে যায়। শিমের বিচি যেমন সবজি হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তেমনি এটি বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রেও খুবই কার্যকর।
আবার এই শিমের বিচি দিয়ে বিভিন্ন পদের রান্না তৈরি করা যায়। যেহেতু সিম শীতকালীন সবজি, সেহেতু শীতকালে এর সরবরাহ অনেক থাকে। আর গরমকালে এর সরবরাহ তেমন দেখা যায় না। তাই কিছু পদ্ধতির মাধ্যমে এর সংরক্ষণ করে রেখে সারা বছর খাওয়া যায়। শীতকালে গরম ভাতের সাথে শিমের তরকারি খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার। এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা রয়েছে এই শিমের বিচিতে।এ সকল তথ্য জানার জন্য এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
শিমের বিচির উপকারিতা
প্রিয় পাঠক এ পর্যায়ে আমরা জানবো শিমের বিচির উপকারিতা সম্পর্কে। অনেকের শিমের বিচির উপকারিতা সম্পর্কে ধারণা নেই। শিমের বিচির উপকারিতা অনেক রয়েছে। শিমের বিচিতে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর উপাদান থাকায় এটি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। তাই চলুন জেনে নিন শিমের বিচির উপকারিতা সম্পর্কে।
- চুল পড়া রোধে খুবই কার্যকরী এই শিমের বিচি। কারণ শিমের বিচিতে রয়েছে খনিজ উপাদান।
- কোষ্ঠকাঠিন্য উপশমে সাহায্য করে।
- গর্ভবতী মহিলার পুষ্টি জোগাতে খুবই কার্যকরী এই শিম।
- কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
- হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
আরও পড়ুনঃ সরিষা ফুলের মধুর উপকারিতা
- শিম এলার্জির সমস্যা সমাধানে খুবই উপকারী।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে খুবই সহায়ক।
- ত্বকের আদ্রর্তা বজায় রাখতে শিম খুবই উপকারী।
- স্নায়ুতন্ত্র সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
উপরোক্ত উপকারিতা গুলো ছাড়াও শিমের বিচির আরও বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা রয়েছে, যা দেহের জন্য খুবই উপকারী। আশা করি শিমের বিচির উপকারিতা সম্পর্কে আপনি জেনে গেছেন।
শিমের বিচির অপকারিতা
সিম শীতকালে খুবই পাওয়া যায়। শিমের ভর্তা, ভাজি এমনকি ঝোল করেও খাওয়া যায়। শিমে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে অথচ এটিতে কিছু অপকার রয়েছে। একটি জিনিসের উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতাও থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই শিম গরম ভাতের সাথে খাওয়া একটি মজাদার ব্যাপার। আর এই শিম খেতে পছন্দ করে না এমন লোক পাওয়া প্রায় দুরুহ ব্যাপার। তবে শিমের বিচিতে যে অপকারিতা রয়েছে তা খুবই সামান্য। তবে যে কোন জিনিস পরিমাণমতো খাওয়া উচিত। পরিমাণের অতিরিক্ত হয়ে গেলে সেটি ক্ষতির কারণ হতে পারে। শিমের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। অর্থাৎ বেশি শিম খেলে বমি বমি ভাব হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে অপকারিতার চেয়ে উপকারিতা অনেক বেশি।
শুকনো শিমের বিচির উপকারিতা
কাঁচা শিমের বিচিতে যেরকম উপকার রয়েছে ,তেমনি শুকনো শিমের বিচিতেও অনেক উপকার রয়েছে। এই বিচিতে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং আয়রন থাকায় এটি দেহের জন্য খুবই স্বাস্থ্যকর এবং কার্যকরী। এটি যেমন ওজন কমাতে সাহায্য করে, তেমনি বিভিন্ন ধরনের রোগ দূর করার ক্ষেত্রেও কার্যকরী। এটি দেহের শক্তি যোগায় এবং ক্রনিক রোগ উপশমে খুবই ফলপ্রসূ। তবে শুকনো শিমের বিচি অনেকদিন সংরক্ষণ করা যায়।
আরও পড়ুনঃ কাঁচা মরিচের উপকারিতা
পরবর্তীতে এটি খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যায়। কিন্তু এর গুনাগুন ঠিকই থাকে। অনেকদিন সংরক্ষণ করার ফলেও এর যে গুনাগুন রয়েছে তা অটুট থাকে। কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে খুবই কার্যকরী। এই সমস্ত উপকারিতার পাশাপাশি আরও বিভিন্ন ধরনের উপকার হয় এই শুকনো শিমের বিচি খেলে। তাই শুকনো শিমের বিচির উপকারিতা অনেক।
শিম খাওয়ার উপকারিতা
ইতিপূর্বে সিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। তবে শিম খাবার উপকারিতা বলে শেষ করার নয়। শিমে যেমন বিভিন্ন ভিটামিন উপাদান উপস্থিত, তেমনি এটিতে আয়রন, ফাইবার, প্রোটিন, খনিজ ইত্যাদি উপাদান গুলো বিদ্যমান। অল্প বয়সে অনেকের চুল পড়তে দেখা যায়। এই চুল পড়া হ্রাস করার ক্ষেত্রে শিম খুবই উপকারী। আবার বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রেও কার্যকরী। যেমন: কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ ও উপশমে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
আরও পড়ুনঃ কাঁচা কলার উপকারিতা
পরিপাকের ক্ষেত্রে শিম অধিক কার্যকরী। এছাড়াও বাতের ব্যথা কমাতে শিম সাহায্য করে। খিদে বাড়াতে সাহায্য করে এবং মুখের স্বাদ বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে উপকারী। এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের উপকার পাওয়া যায় এই শিমে। সুতরাং আমরা জানতে পারলাম, শিম খাবার ফলে কি কি উপকার পাওয়া যায় সেই সম্পর্কে।
শিম খাওয়ার অপকারিতা
শিম খাওয়ার অপকারিতা থাকলেও এর উপকারিতা অনেক বেশি। শিম শীতকালীন সবজি বিধায় এর চাহিদা শীতকালে ব্যাপক বেড়ে যায়। সবাই শিম খেতে পছন্দ করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিম খেলে একটু অসুবিধা হতে পারে। মাইগ্রেনের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যাদের অ্যালার্জি রয়েছে তারা অতিরিক্ত শিম খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো। আবার অতিরিক্ত শিম খেলে বমি বমি ভাব হওয়ার সম্ভাবনাও থাকতে পারে। তবে শিম খাওয়ার অপকারিতা যতটুকু রয়েছে তার চেয়ে বেশি রয়েছে উপকার।
শিমের বিচি খেলে কি ওজন বাড়ে
প্রিয় পাঠক অনেকের জানা নেই শিমের বিচি খেলে ওজন বাড়ে না কমে এই সম্পর্কে। অনেকে ওজন কম রাখতে পছন্দ করে। এই ওজন কমানোর জন্য অনেকে বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকে। তবে শিমের বিচি খেলে ওজন বাড়ে না কমে এ বিষয়ে অনেকের বিভিন্ন ধারণা রয়েছে। শর্করা জাতীয় খাবার গ্রহণ করার ফলে ওজন কমাতে সাহায্য করে। তবে শুধু শর্করা জাতীয় খাবার গ্রহণ করলে হবে না এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি খেতে হবে। এই শাক সবজির মধ্যে শিম একটি অন্যতম সবজি। এটি একদিকে যেমন ওজন কমায় অন্যদিকে স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী। এবং শিমে ক্যালরির পরিমাণও অনেক কম থাকে। তাই বলা যাই দেহকে সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে শিম খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান।
শিমের বিচিতে কোন ভিটামিন
শিমের বিচিতে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন রয়েছে। এই ভিটামিন গুলো দেহের জন্য খুবই উপকারী। দেহে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে। আবার অনেকেই জানেনা শিমের বিচিতে কি ধরনের ভিটামিন বিদ্যমান। শিমের বিচিতে ভিটামিন সি, জিংক ইত্যাদি উপাদান গুলো উপস্থিত। এছাড়াও শিমের বিচিতে প্রোটিন, আয়রন, কার্বোহাইড্রেট ইত্যাদি উপাদান গুলো রয়েছে। এগুলোর পাশাপাশি খনিজ উপাদান রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ কোন ভিটামিনের অভাবে মুখের চামড়া উঠে
শিমের বিচিতে ফাইবার ও প্রোটিন থাকার কারণে হজমে সাহায্য করে থাকে। উপরোক্ত উপাদান গুলো ছাড়াও ভিটামিন বি ৬, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এসব উপাদান বিদ্যমান। সুতরাং বলা যাই শিমের বিচিতে যে সকল উপাদান গুলো বা ভিটামিন রয়েছে সেগুলো শরীরের জন্য অনেক পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যের পক্ষে অনেক উপকারী।
শিমের বিচি খাওয়ার নিয়ম
শিমসহ শিমের বিচি একটি পুষ্টিকর খাবার। এটি খেতে অনেক সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি সবজি। আমরা উপরের আলোচনায় জেনেছি শিমের বিচিতে কি কি উপাদান রয়েছে। এই উপাদানগুলো শরীরের জন্য যেমন উপকারী, তেমনি বিভিন্ন ধরনের রোগের ক্ষেত্রেও কার্যকরী। কিন্তু এই শিমের বিচি বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে খেয়ে থাকে। কেউ ভেজে খায়, কেউ আবার রান্না করে খায়। এমনকি অন্য তরকারির সঙ্গে এটি খেয়ে থাকে। তরকারির সাথে রান্না করে খেলে অনেক সুস্বাদু খাবার তৈরি হয়। এমনকি শিমের বিচির কাবাব করেও খাওয়া যায়। তাই যে কোন জিনিস নিয়ম করে খেলে সঠিক পুষ্টি পাওয়া সম্ভব।