পণ্য: পোস্তু দানা
ওজন: ১০০ গ্রাম
Benefits of Posto: দামের ঠেলায় পোস্তকে রাখছেন বাদের খাতায়? এর গুণ মাহাত্ম জানলে ভুল শুধরে নেবেন অবলীলায়!
পোস্তর গুণের কোনও সীমা-পরিসীমা নেই। এতে উপস্থিত উপাদানগুলি হার্টের রোগ প্রতিরোধ ও ব্যথা কমানোর পাশাপাশি আরও বিভিন্ন উপকার করে। আসুন সেই দিকে নজর ফেরানো যাক।
পোস্তর স্বাদের কোনও তুলনা নেই। তাই রাঢ় বঙ্গের বহু আদি বাসিন্দা মাছ, মাংসের থেকেও পোস্ত খেতে বেশি পছন্দ করেন। সেই কারণেই এই সকল অঞ্চলের বিয়ে বাড়িতে বিরিয়ানি, পাঁঠার মাংসের সঙ্গে ভাত, পোস্তর কম্বিনেশনটাও যেন তেন প্রকারেণ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। কারণ এটাই হল ‘পাবলিক ডিমান্ড’। তবে শুধু স্বাদ দিয়ে এই খাদ্যের বিচার করলে চলবে না। বরং এর গুণও কিন্তু অনন্য। এতে রয়েছে এমন কিছু উপকারী উপাদান যা শরীর ও মন- দুইই নিমেষে চাঙ্গা করে তোলে। তাই নিয়মিত পোস্ত খাওয়া দরকার। কিন্তু দুঃখের কথা হল, পেটে সইলেও পকেটের তাড়নায় আজ বহু বাঙালিই পোস্ত খাওয়া ছেড়েছেন। দামের ভারে তাঁরা বঞ্চিত হচ্ছেন পোস্ত বাটা, পোস্তের বড়া, আলু পোস্ত, পেঁয়াজ পোস্তের মতো জিভে জল আনা পদ থেকে। বিশেষজ্ঞদের কথায়, সবসময় পকেটের দিকে নজর দিলে চলবে না। বরং কিছুটা খরচ করেই পোস্ত খান। এতেই একাধিক শারীরিক সমস্যা থেকে দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হবে। আসুন সেই দিকে নজর দেওয়া যাক।
১. পুষ্টির ভাণ্ডার পোস্ত
পুষ্টিবিজ্ঞানীদের কথায়, পোস্ত অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। এতে রয়েছে ফাইবার, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক, থিয়ামিন, আয়রন সহ একাধিক প্রয়োজনীয় উপাদান। এই সকল উপাদানগুলি একত্রে মিলে দেহের বহু জরুরি কাজ সম্পন্ন করে। এমনকী বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি দূর করতেও এদের জুড়ি মেলা ভার। তাই শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা, পোস্তই হোক ভরসা। তাই তো পকেটের দিকে বেশি না তাকিয়ে দোকান থেকে পোস্ত কিনে এনে রান্নায় দিন মশাই।
২. ব্য়থা কমাতে সিদ্বহস্ত
এখন বয়স একটু বাড়লেই ব্যথার সমস্যা পিছু নেয়। বিশেষত, হাঁটু, কোমরের ব্যথাই যত নষ্টের গোড়া। আপনিও কি এই ধরনের সমস্যায় ভুক্তভোগী? সেক্ষেত্রে আপনার ব্যথা কমানোর দাওয়াই হতে পারে পোস্ত। আসলে এই খাদ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা ব্যথা কমাতে পারে। এই উপাদানগুলিকে বলা হয়, ওপিয়াম অ্যালকালয়েড। এক্ষেত্রে ব্যথা কমানোর পাশাপাশি অনিদ্রার সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে পোস্ত। তাই যন্ত্রণা নিবারণের জন্য় পছন্দের কোনও পোস্তের পদ পাতে রাখতেই পারেন।
৩. হার্ট থাকে হেলদি
হার্ট নিয়ে উদাসীন থাকার সময় এখন অতীত। বরং এই অঙ্গকে নিয়ে সদা সচেতন থাকা প্রয়োজন। নইলে হার্ট অ্যাটাক, অ্যারিদমিয়া, হার্ট ফেলিওর সহ একাধিক জটিল থেকে জটিলতর অসুখ পিছু নিতে পারে। প্রসঙ্গত, বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, হার্টকে সুস্থ রাখার কাজে অত্যন্ত কার্যকরী পোস্ত। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট। এই ফ্যাট কিন্তু হার্ট ও স্ট্রোকের আশঙ্কা প্রায় ১৭ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে বলে জানাচ্ছে হেলথলাইন। এছাড়া এতে উপস্থিত উপকারী ফ্যাট ত্বকের স্বাস্থ্য ফেরায়।
৪. হজমে সাহায্যকারী
বাঙালি আর পেটের সমস্যা যেন সমার্থক! গ্যাস, অ্যাসিডিটি ও পেট খারাপের মতো জটিলতা আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। তবে চিন্তা নেই মশাই, শুধুমাত্র পোস্ত খেয়েই এই সমস্যাকে অনায়াসে বাগে আনতে পারবেন। আসলে এই খাবারে উপস্থিত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এই ফাইবার খাবার হজমে সাহায্য করে। এমনকী অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। আর সেই কারণেই পেটের সমস্যার সহজ সমাধান করে দিতে পারে পোস্ত।
৫. ফার্টিলিটি বাড়াতে কার্যকরী
ফার্টিলিটির সমস্যায় ভুক্তোভোগী দম্পতীর সংখ্যা নেহাত কম নয়। খারাপ জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসের দরুনই মূলত এই সমস্যা পিছু নেয়। তবে কয়েকটি গবেষণা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে নিয়মিত পোস্ত খেলে ফার্টিলিটি বাড়তে পারে। বিশেষত, মহিলারা এর থেকে বেশি উপকৃত হন। তাই প্রতেক দম্পতিরই পাতে পোস্ত রাখা উচিত।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।