পণ্য: মিশ্র শুকনো ফল এবং বাদাম
ওজন: ২৫০ গ্রাম
তিনবেলা খাবারের মাঝে যাদের একটু বেশি বেশি ক্ষুধা লাগে, তাদের চেবানোর মতো কিছু খাবার লাগে। এই চাবানোর জিনিসটা যদি একটু বেছে নেন, তো একটা বড় ধরনের ঝুঁকি থেকে বেঁচে যাবেন। বিশেষজ্ঞরা শুকনো ফলের কথা বলেছেন। যদি মাঝে মাঝেই শুকনো ফল খেতে পারেন, তবে কার্ডওভাসকুলার ডিজিসের ঝুঁকিমুক্ত হতে পারবেন।
ইন্টারন্যাশনাল নাট অ্যান্ড ড্রাইড ফ্রুট কাউন্সিলের (আইএনসি) এক গবেষণায় শুকনো ফলের নানাবিধ গুণের কথা তুলে ধরা হয়।
গবেষণায় ইনফ্লামাটরি সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের দেহে বাদাম ও শুকনো ফলের উপকারিতা পরীক্ষা করা হয়। হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যেও অনুসন্ধান চালানো হয়েছে।
গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয় বিএমজে ওপেন জার্নালে।
মূলত ৩৬টি আর্টিক্যাল এবং ৩২টি মৌলিক গবেষণা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের বাদাম ও শুকনো খাবার খেতে দেওয়া হয়। একেকজন মানুষ একেক পরিমাণ বাদাম ও শুকনো খাবার গ্রহণ করেন। যদি প্রতিদিন ১৮-৮৫ গ্রাম এই খাবার গ্রহণ করা যায়, তবে স্পষ্ট উপকার মিলবে।
তিনবেলা খাবারের মাঝে যাদের একটু বেশি বেশি ক্ষুধা লাগে, তাদের চেবানোর মতো কিছু খাবার লাগে। এই চাবানোর জিনিসটা যদি একটু বেছে নেন, তো একটা বড় ধরনের ঝুঁকি থেকে বেঁচে যাবেন। বিশেষজ্ঞরা শুকনো ফলের কথা বলেছেন। যদি মাঝে মাঝেই শুকনো ফল খেতে পারেন, তবে কার্ডওভাসকুলার ডিজিসের ঝুঁকিমুক্ত হতে পারবেন।
ইন্টারন্যাশনাল নাট অ্যান্ড ড্রাইড ফ্রুট কাউন্সিলের (আইএনসি) এক গবেষণায় শুকনো ফলের নানাবিধ গুণের কথা তুলে ধরা হয়।
গবেষণায় ইনফ্লামাটরি সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের দেহে বাদাম ও শুকনো ফলের উপকারিতা পরীক্ষা করা হয়। হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যেও অনুসন্ধান চালানো হয়েছে।
গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয় বিএমজে ওপেন জার্নালে।
মূলত ৩৬টি আর্টিক্যাল এবং ৩২টি মৌলিক গবেষণা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের বাদাম ও শুকনো খাবার খেতে দেওয়া হয়। একেকজন মানুষ একেক পরিমাণ বাদাম ও শুকনো খাবার গ্রহণ করেন। যদি প্রতিদিন ১৮-৮৫ গ্রাম এই খাবার গ্রহণ করা যায়, তবে স্পষ্ট উপকার মিলবে।
বাদাম আর শুকনো ফলের উপকারিতা
বাদাম ও শুকনো ফলের মিশ্রণও পাওয়া যায় বাজারে। এগুলো খেলে ফ্লো-মেডিয়েটেড ডাইলেশন প্রক্রিয়ার ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হয়। মূলত এন্ডোথেলিয়াল ফাংশন বুঝতে ফ্লো-মেডিয়েটেড ডাইলেশন পর্যবেক্ষণ করা হয়। এন্ডোথেলিয়ালের কার্যকারিতা ও স্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি হলে কার্ডিওভাসকুলার ডিজিসের ঝুঁকি বাড়ে।
২০১১ সালে ইউরোপিয়ান ফুড সেফটি অথোরিটির আরেক গবেষণায় বলা হয়েছিল, ওয়ালনাটসহ বিভিন্ন ধরনের বাদাম এবং শুকনো ফল রক্তবাহী নালীর স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করে।
বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে বিশেষজ্ঞরা একমত হয়েছেন যে, কার্ডিওভাসকুলার ডিজিসের ঝুঁকি কমাতে যা দরকার, তারই সরবরাহ দেয় বাদাম ও শুকনো ফল।
এসব খাবারের আরো কিছু উপকারিতা আছে। যেমন-
১. এরা ভক্ষণযোগ্য ফাইবারে ভরপুর যা হজম প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠু করে।
২. এগুলোতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা হৃদরোগ, ক্যান্সার, অস্টেয়োপরোসিস, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার এবং মস্তিষ্কের ডিজেনারেটিভ ডিজিস প্রতিরোধে কার্যকর।
৩. এরা ভিটামিন, খনিজ, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম এবং ক্যালসিয়ামের উন্নত উৎস।
৪. শুকনো ফল কিন্তু শক্তির অন্যতম উৎস।
৪. মিক্সড ড্রাই ফ্রুটস শরীরের ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে। ...
৫. মিক্সড ড্রাই ফুড ১০/১২ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে তা খেলে বেশি উপকার পাবেন। ...
৬. মিক্সড ড্রাই ফুড সকালে খেলে সর্বোচ্চ উপকার পাবেন। ...
৭. মিক্সড ড্রাই ফুড যা প্রতিদিনের ডায়েটে থাকলে ডায়াবেটিস মতো রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন
পুষ্টিগুনে দেখতে গেলে বাদামের কোন বিকল্প নেই। এতে ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং প্রোটিন উপস্থিত। যা স্বাস্থ্য এবং ত্বকের জন্য খুবই উপকারি। বাদাম খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। নিয়মিত বাদাম যে রোগ নির্মূল করে তা কারোর অজানা নয়। কিন্তু এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। বাদাম খাওয়ার উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতাও বিদ্যমান। তাই আজ আলোচনা করব বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে। নীচে এই সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-
বাদামের উপকারিতা জেনে নিন ক্যান্সার থেকে বাঁচায়: কাজু প্রুনোথোসিনিডিন ফ্লাভোনিওাইডের একটি প্রকার যা ক্যান্সার কোষগুলিকে ক্রমবর্ধমান থেকে আটকায়। কাজু বাদাম নিয়মিত ক্যান্সারের কিছু রূপ থেকে রক্ষা রাখে
ক্লান্তি দূর করে: বাদাম শক্তির ভালো উৎস। বাদাম খাওয়ার ফলে দেহে এনার্জি দেয়। নিয়মিত এই বাদাম খেলে শরীরের ক্লান্তি দূর হয়।
মস্তিষ্কে শক্তিশালী করে: কাজু বাদামে এক প্রকার তেল থাকে যা ভিটামিন বি সমৃদ্ধ। এর জন্য এটি একটি শক্তিশালী খাদ্য হিসাবে পরিচিত। এছাড়াও বাদামে রয়েছে ভিটামিন বি, যা মেমরি শক্তি বৃদ্ধি করে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: বাদামে পটাসিয়ামের পরিমাণ উচ্চ মাত্রায় থাকে এবং সোডিয়ামের পরিমাণ কম থাকে। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। সোডিয়ামের মাত্রা বেশি হলে দেহে রক্ত বৃদ্ধি পায় তখন রক্তচাপ বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে নিয়মিত বাদাম খাওয়া উপকারি।
কলেস্টেরল কমায়: নিয়মিত বাদাম খাওয়ার দ্বারা কলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত হয়। বাদামে উচ্চ প্রোটিন সামগ্রী হওয়ার কারণে দ্রুত হজমের শক্তি বাড়ায়। তাই কলেস্টেরলের সমস্যা থেকে ভুগছেন এমন মানুষজনকে নিয়মিত বাদাম খেতে হবে।
স্বাস্থ্যকর হৃদয়: বাদামে এক প্রকার অ্যাসিড পাওয়া যায় যা হার্টের পক্ষে খুব ভালো। এছাড়াও দস্তা, ম্যাগনেসিয়াম, তামা এবং লোহার মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে এবং হৃদরোগের সহায়তা করে।
মেজাজ ভাল রাখে: আপনি যদি দিনে একবার অন্তত বাদাম খান তাহলে আপনাকে ক্যালরির জন্য অতিরিক্ত খাবার খেতে হবে না। বাদাম খাদ্য মেজাজ হিসাবে পরিচিত। তাই মনের বিষণ্নতা দূর করে মন রিফ্রেশ করে তোলে।
এবার জেনেন নিন বাদামের অপকারিতা
ওজন বাড়াতে পারে: বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা নিবন্ধে বাদামের উপকারিতায় আমরা আগেই জেনেছি, এতে উচ্চ প্রোটিন ও ফ্যাট থাকে। তাই মাত্রাতিরিক্ত বাদাম খেলে আপনি কিন্তু মোটা হয়ে যেতে পারেন। কাঠ বাদাম ওজন কমায় পাশাপাশি বেশি খেলে ওজন বাড়াতেও পারে। এছাড়াও অন্যান্য বাদাম রয়েছে যা সঠিক মাত্রায় না খেলে ওজন বৃদ্ধি করতে পারে। তাই নিয়মিত খাবারের তালিকায় বাদাম যোগ করলে চার ভাগের এক ভাগ রাখুন।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা: আপনার কাজু বাদাম পছন্দ আর আপনি রোজ প্রয়োজনের থেকে (২০০ গ্রাম বা তার বেশি) খেয়ে ফেলেন। তাহলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারেন। কারণ এটি বাদামে একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
অ্যালার্জির সমস্যা: বাদামে প্রচুর পরিমাণে উপকারিতা বিদ্যমান রয়েছে তবু বাদাম খাওয়ার সময় সঠিক পদ্ধতিতে না ব্যবহার করলে কিছু সাইড এফেক্ট দেখা যায়। তার মধ্যে একটি অ্যালার্জির সমস্যা। কারণ বাদামে অ্যালার্জি হওয়ার প্রবণতা বেশি। তাই বাদাম খাওয়ার আগে সচেতন হন কোন বাদামে আপনার অ্যালার্জি রয়েছে।