পণ্য: কাটিলা গাম পাউডার
ওজন: 300 গ্রাম
Katila Gum (কাতিলা গাম)
কাতিলা গাম এমন একটি উপাদান যা গন্ধহীন, স্বাদহীন এবং পলি-স্যাকারাইডের পানির দ্রবণীয় মিশ্রণ যা উদ্ভিদের শিকড় থেকে শুকিয়ে সংগ্রহ করা হয়। কাজটি জটিল মনে হলেও আসলে তেমন জটিল নয়। সহজেই তৈরী করা সম্ভব।
। মানব জীবনে কাতিলা গামের এতো যে উপকারিতা রয়েছে তা আসলে সবাই জানে না। কাতিলা গাম নিয়ে আজকের বিস্তারিত আলোচনা।
১. শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি: এই গরমে আপনি দিনে ২ বেলা নিয়ম করে যদি কাতিলা গাম পানিতে ভিজিয়ে তাতে লেবু মিশিয়ে একটু মধু বা মিছরি মিশিয়ে খেতে পারেন তাতে যেমন সারাদিনের ক্লান্তি কেটে যাবে তেমনি শারিরীক সক্ষমতা বেড়ে যাবে বহুগুণে। এটা যৌনতার ক্ষেত্রেও হতে পারে।
২. শরীর ঠান্ডা রাখে: কাতিলা গাম (Tragacanth Gum) যাকে কাতিরা গামও বলা হয়। এটা শরীরে খুবই শীতল প্রভাব ফেলে। এটা শরীরে গঠিত তাপ শীতল করে দেয়। এগুলো ছাড়াও এটা প্রোটিন এবং ফলিক অ্যাসিডের একটি ভাল উৎস হিসেবে কাজ করে যা দেহের স্বাস্থ্য-পরিস্থিতি ভালো রাখে।
৩. স্টকের ঝুঁকি কমায়: গ্রীষ্মকালীন সময়ে কাতিলা গাম এমন লোকদের হিট স্ট্রোক রোধ করতে পারে যারা গরম আবহাওয়ায় বাইরে থাকতে পারেন না। তাই গরম যাদের সহ্য হয়না তাদের নিয়মিত কাতিলা গাম খাওয়া উচিত।
৪. বীর্য গাঢ় করে: যদি কম কামশক্তি (যৌন শক্তি) থাকে কিংবা বীর্য পাতলা হয় তবে কাতিলা গামের নিয়মিত ব্যবহার আপনাকে প্রচুর পরিমাণে সাহায্য করবে পারে। পুরুষের বীর্য গাঢ় এবং বীর্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে কাতিলা গাম।
৫. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে: আপনি ঘন ঘন কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার সম্মুখ্যীন হন তবে প্রতিদিন অবশ্যই কাতিলা গাম খাওয়ার চেষ্টা করুন। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে কাতীলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৬. হাত-পায়ের জ্বালাপোড়া বন্ধে: কিছু লোকের মধ্যে একটি সাধারণ সমস্যা হলো হাত পা জ্বালাপোড়া করা। এটি হাত ও পায়ে জ্বলন্ত সংবেদনকে উন্নত করে অর্থাৎ হাত-পায়ের জ্বালাপোড়া কমিয়ে দেয়।
৭. হজমে সাহায্য করে: কাতিলা গাম হলো ফাইবার সমৃদ্ধ এবং দেহের বিপাক বাড়ানোর বৈশিষ্ট্যযুক্ত একটি উপাদেয়। উচ্চ ফাইবারের কারণে তৃপ্তি এবং ক্ষুধা যন্ত্রণা কম অনুভূত হয়ে থাকে। এটা সহজে কোন মানুষ বুঝতে পারে না।বর্ধিত বিপাকীয় হার স্বয়ংক্রিয়ভাবে দেহের শক্তির প্রয়োজনীয়তা বাড়িয়ে তুলবে যার ফলে চর্বিতে রূপান্তরিত করতে কম সংখ্যক ক্যালোরি প্রয়োজন হবে।
৮. শরীরের ওজন কমাতে: যদি আপনি শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে চান কিংবা ওজন রক্ষণাবেক্ষণের ডায়েটে থাকেন তবে এটা আপনাকে অনেকাংশে সহায়তা করবে।
এক কথায় বলতে গেলে শারিরীক শক্তি বৃদ্ধি করে, হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ, কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণ, গর্ভবতী মায়ের পুষ্টি অক্ষুন্ন রাখতে, হাত ও পায়ে জ্বালাভাব দূর করতে, ওজন কমাতে, চকচকে ত্বক পেতে, ইমিউন সিস্টেমের উন্নতি করতে ও পুরুষদের মধ্যে লিবিডো উন্নত করতে কাতিলা গামের ভূমিকা অনস্বীকার্য।