Hortoki Gura(Hortoki Powder)-100 gm

(0 reviews)
Estimate Shipping Time: 3 Days
Brand
Hello Food
Sold by Hello Food

Price
৳147.60 ৳180.00 /100gm -18%
Quantity
Total Price
Share
Seller
Hello Food
3/7 Shanti Nibash West Tejturi Bazar, Tejgaon, Dhaka
(0 customer reviews)

Reviews & Ratings

0 out of 5.0
(0 reviews)
There have been no reviews for this product yet.
পণ্য: হরতোকি গুড়া
ওজন: ১০০ গ্রাম
প্রাকৃতিক ভেষজ হরতকির ১৭ উপকারিতা

আমাদের প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে হরিতকীকে খুবই মূল্যবান একটি ভেষজের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। পুজোর কাজ থেকে শুরু করে আমাদের বিভিন্ন ওষুধ, হরিতকির ব্যবহার কিন্তু অসীম। আপনাদের হরেক সমস্যায়, বলতে গেলে পায়ের নখ থেকে মাথার চুল পর্যন্ত সব সমস্যার জন্য রয়েছে এই হরিতকী।

কেন হরিতকী এতো গুণসম্পন্ন

হরিতকীর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আর আয়রন, সেলেনিয়াম, ম্যাংগানিজ, কপারের মতো খনিজ। এর ফলে আমাদের চুলের সার্বিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে হরিতকীর অবদান অনেক। হরিতকী থেকে যে তেল পাওয়া যায় তা আমাদের গ্যাসের সমস্যা থেকে দারুণ ভাবে মুক্তি দেয়। মলের অনিয়ম বা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে দেয়। হরিতকীর পাউডার বা গুঁড়ো অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর, এর ফলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেড়ে যায়। আবার কোনও ক্ষত হলে সেখানে হরিতকীর গুঁড়ো একটু নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলে তাড়াতাড়ি উপকার মেলে। এতো গুণ রয়েছে এক হরিতকীর মধ্যে। এবার আমরা একটু বিশদে জেনে নেব হরিতকীর গুণাগুণ সম্বন্ধে।

১. হজম ক্ষমতা বাড়াতে

হজম ক্ষমতার সমস্যা হয় যখন আপনার খাবারের মধ্যে থাকা পুষ্টিগুণ ভাল ভাবে শরীরে মেশে না। ভাল করে পাকস্থলী খাবার পরিপাক করতে না পারলে হজমে সমস্যা হয়। তাই হজমের সমস্যা সমাধানের জন্য পাকস্থলীর যাবতীয় কাজ ঠিক ভাবে হওয়া দরকার। হরিতকী ঠিক এই কাজটিই করে। দুপুরে আর রাতে খাবারের পর হরিতকী গুঁড়ো যদি অল্প উষ্ণ গরম জলে মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলে খুব ভাল উপকার পাবেন। এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যাও কমবে।

২. কোষ্ঠকাঠিন্য হলে

আলাদা ভাবে এই সমস্যা নিয়েও আলোচনা করা দরকার। হজমের সমস্যা না থাকলেও অনেকের এই সমস্যাটি কিন্তু থেকেই যায়। জল ঠিক করে না খাওয়া বা শরীরে জলের ভাব কম থাকা কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার মূল কারণ। তাই জল বা তরল কিছু অবশ্যই খান। তার সঙ্গে হরিতকী খান। এক্ষেত্রে হরিতকী গুঁড়ো আর অল্প আদার রসের একটা পেস্ট করে নিয়ে সেটা রাতে খাবার পর খেলে ভাল উপকার পাবেন।

৩. সর্দি-কাশিতে

এই সমস্যা আমাদের সারা বছরের সমস্যা। গরমে ঘাম জমে, বর্ষাকালে বৃষ্টি ভিজে, ঠাণ্ডা লেগে শীতে, আবহাওয়া পরিবর্তনের সময়ে, সারা বছর অল্প কাশি বা সর্দি হতেই থাকে। তুলসী, মধু এই ধরণের উপাদানের সঙ্গেই নিন হরিতকী। হরিতকী গুঁড়ো আর অল্প সৈন্ধব লবণ বা রক সল্ট মিশিয়ে খেয়ে উষ্ণ গরম জল খেয়ে নিন। হরিতকীর মধ্যে শরীরের কফ উপাদান ব্যাল্যান্স করার ক্ষমতা থাকে। এই অনবদ্য ফল আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই সারা বছর খেলে সারা বছর ভাল থাকবেন।

৪. ওজন কমাতে

কতো কিছুই না করি আমরা ওজন কমিয়ে ছিপছিপে হওয়ার জন্য। তাও কিছু কাজের কাজ হয় না। আচ্ছা, হরিতকী ব্যবহার করেছেন? না করলে একবার করে দেখুন। হরিতকী মেটাবলিজম ক্ষমতা অনেক বাড়িয়ে দেয়। ফলে খাবার ভাল করে হজম হয়। না হজম হয়ে ফ্যাট হয়ে শরীরের নানা অংশে জমে যায় না। তাই চর্বিও কম হয়। কীভাবে খাবেন! হরিতকী ১০টা মতো নিয়ে নিন। অল্প ঘি দিয়ে ভেজে নিন হাল্কা করে আর শুকিয়ে নিন। ঠাণ্ডা করার পর গুঁড়ো করে রেখে দিন। এই হরিতকী গুঁড়ো রোজ খাবার পর অল্প খান। খুব উপকার পাবেন। সঙ্গে অবশ্যই পরিমিত খাবার খেতে হবে ডায়েট মেনে।

৫. ত্বকের সমস্যায়

ত্বকের সমস্যা মেটাতে হরিতকী ব্যবহার করা খুব বুদ্ধিমানের কাজ। হরিতকী রক্ত শুদ্ধ করে। আর আগেই বলেছি, হরিতকী পেট পরিষ্কারও করে খুব সুন্দর। পেট পরিষ্কার আর রক্ত পরিষ্কার, এই দুটি দিক ঠিক থাকলে ত্বকের প্রাথমিক সমস্যাগুলি এমনিতেই আশি শতাংশ কমে যায় ভিতর থেকে। হরিতকী শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়। সকালে খালি পেটে গরম জলে মিশিয়ে হরিতকী চূর্ণ খেলে ত্বকের সমস্যা অনেক কমে যাবে। ভিতর থেকে আপনি সুন্দর হয়ে উঠতে থাকেন।

৬. আর্থ্রারাইটিস হলে

শুধু বয়স্ক মানুষ নন, আজকাল অনেক কম বয়সের মানুষেরও হাঁটুর ব্যথা, গাঁটের ব্যথা এই সব হয়। এই ক্ষেত্রে ওষুধ খাওয়ার পাশে হরিতকী যদি আপনি ব্যবহার করেন তাহলে তা হবে সোনায় সোহাগা। হরিতকীর মধ্যে ক্যালসিয়াম আছে প্রচুর পরিমাণে। আর ক্যালসিয়াম হাড় শক্ত করতে, টিস্যু মজবুত করতে সাহায্য করে। আর বোন টিস্যু, হাড় মজবুত হলেই ব্যথা, জয়েন্ট পেইন কম হবে। তাই হরিতকীর তেল, যা যে কোনও ভাল আয়ুর্বেদিক দোকানে বা অনলাইনে পাওয়া যায়, তা কিনে মালিশ করতে পারেন। আর না হলে বাড়িতেই তেল বানিয়ে নিন। হরিতকী ১০টা মতো নিয়ে আগে রোদে এক সপ্তাহ শুকিয়ে নিন। তারপর এই হরিতকী গুঁড়ো করে নিন। সর্ষের তেলের মধ্যে এই হরিতকী গুঁড়ো আর রসুন নিয়ে নেড়ে সেই তেল ঠাণ্ডা করে মালিশ করতে পারেন।

৭. অ্যালজাইমার সমস্যায়

অ্যালজাইমা হল স্নায়ু বা নার্ভের সমস্যা। অনেক সময়ে আমরা ভুলে যেতে থাকি অনেক কিছু। বয়স বাড়লে এটা আরও বেশি হয়। বুদ্ধিভ্রংশের সমস্যা বলা হয় একে। স্নায়ু দুর্বল হলে অনেক সময়ে খিঁচ রোগ হয়, নানা রকম বিকৃতি দেখা যায়। সবের সমাধান আয়ুর্বেদিক মতে হরিতকী। হরিতকী খেলে আমাদের স্মৃতিশক্তি বাড়ে। আমরা অনেক বেশি মন দিয়ে শান্ত হয়ে কাজ করতে পারি। হরিতকী চূর্ণ রোজ দুই বেলা হাফ চামচ করে খেলে উপকার অবশ্যই পাবেন।

৮. ডায়াবেটিস কমাতে

আজকের দিনে ডায়াবেটিস প্রায় মহামারীর পর্যায়ে চলে গেছে। প্রত্যেক ঘরে ঘরে আজ এই সমস্যা। আয়ুর্বেদ বলছে হরিতকী রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ার সমস্যাতেও উপকারে আসে। এর মধ্যে থাকা হাইপোগ্লাইকেমিক উপাদান শর্করার মাত্রা রক্তে ঠিক রাখে। হরিতকী গ্লুকোজের অতিরিক্ত উৎপাদন হতে দেয় না, একটা ভারসাম্য বজায় রাখে। ফলে আমরা ডায়াবেটিসের সমস্যায় কম ভুগি।

৯. সেক্সুয়াল হেলথ মজবুত করে

সেই প্রাচীন যুগ থেকে আজকের প্রজন্ম, সেক্সুয়াল হেলথের দিকে কিন্তু নজর আলাদা ভাবে দিয়েছি আমরা। নারী ও পুরুষ, উভয়ের ক্ষেত্রেই হরিতকী সেক্সুয়াল হেলথ মজবুত করতে পারে। স্ট্রেস কমিয়ে সেক্স হরমোন, মানে টেস্টোস্টেরন বা প্রজেস্টেরন হরমোনের নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে, নিয়মিত নিঃসরণ বজায় রাখে। ফলে ‘সেক্স আর্জ’ বা চাহিদা তৈরি হতে থাকে। পুরুষের মধ্যে শক্তি, ক্ষমতা আর নারি-পুরুষ উভয়ের মধ্যেই উৎপাদন শক্তি অনেক বাড়ায় হরিতকী।

১০. চোখও ঠিক রাখে

চোখের নানা রকম সমস্যা, যেমন চোখের নার্ভ শুকিয়ে যাওয়া, চোখে বারবার জল আসা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, চোখ জ্বালা, এইরকম অনেক সমস্যার ওয়ান স্টপ সলিউশন এই হরিতকী। চায়ের সঙ্গে হরিতকী গুঁড়ো মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। তারপর ঠাণ্ডা করে ছেঁকে নিন। এই ছেঁকে নেওয়া জল দিয়ে চোখ পরিষ্কার করতে পারেন। এতে চোখের ইনফেকশন, চোখের অনেক প্রাথমিক সমস্যা কমে যাবে। চোখের দৃষ্টিশক্তিও বাড়বে।

১১. হার্টের যত্নে

হার্টের অন্যতম কাজ এই হার্টের ওপর। হার্টের বেশ কিছু সমস্যা, যেমন হার্টবিট কম হওয়া, বুক ধড়ফড় করা, হাল্কা চিনিচিনে ব্যথা, এইসবই হরিতকীর গুণে কমে আসতে পারে। হরিতকী হার্টের মাসল মজবুত করে, রক্ত সঞ্চালন আর পাম্পিং ক্ষমতা বাড়ায়। তার সঙ্গে কোলেস্টেরল হওয়ার মাত্রাও অনেক কমিয়ে আনে। তাই হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ব্লক বা রক্ত জমাট বাধার মতো সমস্যা হওয়ার প্রাথমিক প্রবণতা অনেক কমে আসে। তবে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ কিন্তু অবশ্যই করতে হবে বেশি সমস্যায়।

১২. পোর্স কমিয়ে আনে

অনেকে আছেন যাদের মুখে বড় বড় ছিদ্র দেখা যায়। হয়তো খুব জোরে জোরে স্ক্রাব করার জন্য বা কিছু জিনিস মুখে মাখার জন্য এতো বড় ছিদ্র হয়ে গেছে। এর থেকে কিন্তু হরিতকী উপকার করবে। পোর্স বা মুখের ছিদ্র কমিয়ে আনবে এই পেস্ট।

১৩. ডার্ক সার্কেল হলে

চিন্তা বেশি করে বা নিয়ম করে না ঘুমিয়ে এই অবস্থা। চোখের কোলে কালি আমাদের সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়। এর জন্যও হরিতকীর বিশেষ প্রয়োগ আছে।

১৪. চুলের সমস্যায়

চুলের আমাদের কতো সমস্যা! খুশকি, চুল পড়া, মাথা চুলকুনি, সাদা চুল, সমস্যা কি কম! কিন্তু বিশ্বাস করুন, হরিতকী হতে পারে এ টু জেড সমস্যার একমাত্র সমাধান। চুলের জন্য তো আমরা ত্রিফলা ব্যবহার করিই। আর এই ত্রিফলার অন্যতম উপাদান হরিতকী। তাই নিশ্চিন্তে চুলের জন্য ব্যবহার করুন হরিতকী।

যে কোনও তেলের সঙ্গে মিশিয়ে হরিতকী মাথায় ম্যাস্যাজ করলে যেমন চুলের গড়া মজবুত হয়, তেমন হরিতকী গুঁড়ো মাথায় শ্যাম্পু হিসেবে ব্যবহার করলে স্ক্যাল্পের ময়লা দূর হয় তাড়াতাড়ি। হরিতকী দিয়ে তৈরি একটি ভাল প্যাক আপনাদের জানাই।

১৫. ব্রণ কমাতে

তেলতেলে ত্বক যাদের তাঁদের র্যারশ, ব্রণ খুবই হয়ে থাকে। আর ব্রণ কমে গেলেও ব্রণর দাগ সহজে যেতে চায় না। কিন্তু হরিতকীর সাহায্যে এই দাগ দূর করা সম্ভব।

১৬. দাঁতের জন্য

আগেই বলেছিলাম যে হরিতকীর মধ্যে ক্যালসিয়াম আছে। আর আমাদের দাঁত তো ক্যালসিয়াম দিয়েই তৈরি। তাই হরিতকী ব্যবহার করলে দাঁতের বেশ কিছু সমস্যা অনায়াসেই দূর হয়ে যায়। প্রথমে আসি দাঁতে গর্ত হলে বা ক্যাভিটি হলে কি করবেন সেই আলোচনায়।

দাঁতে গর্ত হলে ডাক্তার তো অবশ্যই দেখাতে হবে। কিন্তু ব্যথা যে হয় সেটা প্রাথমিক ভাবে হরিতকী ব্যবহার করে কমিয়ে আনা সম্ভব। তার জন্য হরিতকী দিয়ে একটা পেস্ট বানাতে হবে। হরিতকী রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে তার মধ্যে অল্প জল মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করুন। ব্যথা হলে বা চিনচিন করলে ওই গর্তের জায়গায় এই পেস্ট অল্প দিয়ে রেখে দিন। আস্তে আস্তে দেখবেন ব্যথা কমে আসছে।

১৭. দাঁত পরিষ্কার রাখতে

দাঁতের আরেক প্রধান সমস্যা হল হলদে ছোপ ছোপ পড়ে যাওয়া। অনেক কিছু করেই এর থেকে সহজে মুক্তি মেলে না। হরিতকী একবার ব্যবহার করে দেখুন। হরিতকী গুঁড়ো দিয়ে শুধু দাঁত মাজতে পারেন। এটা করলে সবচেয়ে ভাল হয়। না হলে আপনি যে মাজন ব্যবহার করেন তার সঙ্গে হরিতকী গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। রোজ এই পেস্ট দিয়ে দাঁত মাজুন। দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে দাঁত অনেকটা সাদা হয়ে আসবে।

হরিতকীর উপকারিতা ও অপকারিতাগুলো কী কী?

পরিচিতি : মধ্যম থেকে বৃহদাকারের পত্রমোচী বৃক্ষ। উচ্চতায় ২০-৩০ মিটার হয়। বাকল গাঢ় বাদামী। বাকলে লম্বা ফাটল থাকে। পাতা লম্বাকৃতির, ৭-২০ সে.মি. হয়। ফুল সাদা বা হলুদ হয় এবং স্পইকে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে। ফল ড্রপ, ঝুলন্ত, চার সে.মি লম্বা সবুজাভ হয়। কাঠের রং ঘন বেগুনি, খুব শক্ত, ভারী ও মাঝারি আকারের টেকসই।

হরতকির যত ঔষধি ব্যবহার:

আয়ুর্বেদিক বিজ্ঞানে ত্রিফলা নামে পরিচিত তিনটি ফলের একটি হরতকি। এর নানা গুণ আছে। স্বাদ তিতা। এটি ট্যানিন, অ্যামাইনো এসিড, ফ্রুকটোজ ও বিটা সাইটোস্টেবল সমৃদ্ধ। হরতকি দেহের অন্ত্র পরিষ্কার করে এবং একই সঙ্গে দেহের শক্তি বৃদ্ধি করে। এটা রক্তচাপ ও অন্ত্রের খিঁচুনি কমায়। হৃদপিণ্ড ও অন্ত্রের অনিয়ম দূর করে। এটি পরজীবীনাশক, পরিবর্তনসাধক, অন্ত্রের খিঁচুনি রোধক এবং স্নায়ুবিক শক্তিবর্ধক। হরতকি কোষ্ঠকাঠিন্য, স্নায়ুবিক দুর্বলতা, অবসাদ এবং অধিক ওজনের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। চলুন জেনে নেয়া যাক হরতকির আরো কিছু ঔষধি ব্যবহার-

১) অর্শ রোগে হরিতকি চূর্ণ তিন থেকে পাঁচ গ্রাম পরিমাণ ঘোলের সঙ্গে একটু লবণ মিশিয়ে খেলে সেরে যাবে।

২) রক্তার্শে আখের গুড়ের সঙ্গে হরিতকি গুঁড়া মিশিয়ে খেলে কয়েকদিনের মধ্যেই সুফল পাওয়া যায়।

৩) চোখের রোগের ক্ষেত্রে হরিতকি ছেঁচে পানিতে ভিজিয়ে সেই পানি দিয়ে চোখ ধুতে হবে।

৪) পিত্ত বেদনায় সামান্য গাওয়া ঘিয়ের সঙ্গে হরিতকি গুঁড়া সেবন করতে হয়।

৫) গলার স্বর বসে গেলে মুথা ও হরিতকি চূর্ণ মধুর সঙ্গে বেটে অথবা যোয়ানের সঙ্গে পান করলে স্বর স্বাভাবিক হয়।

৬) হরিতকি ফল হৃদরোগ, বদহজম, আমাশয়, জন্ডিস এবং ঋতুস্রাবের ব্যথায় খাওয়ানো হয়।

৭) ফলের রস জ্বর, কাশি, হাঁপানি, পেট ফাঁপা, ঢেকুর উঠা, বর্ধিত যকৃত ও প্লীহা, বাতরোগ ও মূত্রনালীর অসুখেও বিশেষ উপকারী।

৮) কাঁচা ফল রেচক হিসেবে কাজ করে।

৯) আধুনিক ভেষজ চিকৎসকরা ফুঁসফুঁস ও শ্বাসনালীঘটিত রোগে হরিতকি বহুল ব্যবহার করে থাকেন। কাশি ও শ্বাসকষ্টে হরিতকি খুবই কর্যকর।

১০) এছাড়া, ঘন ঘন পানির তৃষ্ণা কিংবা বমি বমি ভাব কাটাতেও হরিতকি ব্যবহৃত হয়।

১১) ত্রিফলা অর্থাৎ আমলকি, হরিতকি ও বহেরা এর প্রতিটির সমপরিমাণ গুঁড়ার শরবত কোলেস্টেরল কমাবার অর্থাৎ প্রেসার বা রক্তচাপ কমাবার মহৌষধ। এক ওষুধ গবেষক দলের মতে, আধুনিক যে কোন এ্যালোপ্যাথিক ঔষধের তুলনায় ত্রিফলা কোলেস্টেরল কমাবার ক্ষেত্রে অনেক বেশি ফলপ্রসূ।

  

Frequently Bought Products

Online Shopping Bangladesh : MShopBD-Majumder Shop

MShopBD-Majumder Shop Online Shopping in Bangladesh is the Best Shopping store within 10000+ products cash on delivery in dhaka, Khulna, ctg & all over Bangladesh with COD-cash on delivery (Only Shipping Cost Advance ) under by www.esdp.gov.bd (bangladesh.gov.bd ) Home Delivery all Over Bangladesh different location and shop as like as Multivendor Online Sites in BD.
Thank you for choosing MShopBD - Majumder Shop!

All categories
Flash Sale
Todays Deal