পণ্য: গোল্ডেন কিসমিস
ওজন: ১০০ গ্রাম
একাধিক উপকারআয়রন শরীরে লোহিত রক্ত কণিকা তৈরিতে কিশমিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায়। প্রতিদিন জলে ভিজিয়ে কিশমিশ খেলে শরীরে রক্তের অভাব দূর হয়। সব ধরনের শুকনো ফলের মধ্যে কিশমিশ একটি এমনই একটি শুষ্ক ফল, যা শরীর থেকে টক্সিন দূর করে এবং লিভারকে সংক্রমণ থেকে নিরাপদ রাখে।
Benefits of Raisin Water: কিশমিশ ভেজানো জল খালিপেটে এভাবে পান করলে কী কী উপকার মিলবে জানেন? রোগ জ্বালা থাকবে দূরে
Health Care: কিশমিশ এমনই একটি খাবার যেখানে বহু রোগ থেকে দূরে থাকার চাবিকাঠি রয়েছে। আবার কিশমিশ অতিরিক্ত খেয়ে ফেললেও বিপদ। ফলে খুব মেপে ঝুপে কিশমিশ ভেজানো জল পান করলে বহু ধরনের উপকার মেলে।
1/7বাঙালির নানান জিভে জল আনা পদের রান্নাতেই পড়ে কিশমিশ। পোলাও কিম্বা পায়েসে সামান্য কিশমিশ ছড়িয়ে দিলে তার স্বাদই পাল্টে যায়। তবে জানেন কি, সকালে উঠে খালি পেটে কিশমিশ ভেজানো জল খেলে তার উপকার কতটা? একাধিক ধরনের রোগ থেকে দূরে রাখে এই কিশমিশ ভেজানো জল।
2/7মূলত, সাধারণ যে কিশমিশ পোলাও বা অন্যান্য রান্নায় দেওয়া হয় ‘মুনাক্কা’ তার থেকে অন্য ধরনের। এটি আকারে সামান্য বড় কিশমিশ। উত্তরভারতের বহু জায়গায় মন্দিরে এই মুনাক্কা অর্পণ করা হয় দেবতাকে। এটি জলে ভিজিয়ে খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। কিশমিশ কালো হোক বা লাল, তা জলে ভিজিয়ে খেলে এবং ভেজানো জলটি পান করলে তার উপকার কতটা দেখে নিন।
3/7কীভাবে খাবেন এই কিশমিশ ভেজানো জল- রাতে ভিজিয়ে রাখুন কিশমিশ। সকালে উঠে সেই জল সামান্য গরম করে পান করে নিন খালি পেটে। এরপর আধঘণ্টা অন্য কিছু খাবেন না। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে, সপ্তাহে রোজ নয়, মাত্র ২ থেকে ৩ দিন এই জল খেলেই পাবেন উপকার।
4/7রক্তাল্পতা- কিশমিশ ভেজানো জল রক্তাল্পতা দূর করতে সাহায্য করে। সকলেরই জানা যে কিশমিশ রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে। ফলে রক্তাল্পতার ক্ষেত্রে এই কিশমিশ ভেজানো জল উপকারি, তবে অবশ্যই কোনও পারিপার্শ্বিক রোগ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কিশমিশ খাওয়া ঠিক নয়।
5/7হার্ট ও লিভার- কিশমিশ হার্ট ও লিভার ভালো রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও লিভারের সমস্যা, হজমের সমস্যা দূর করতে এই কিশমিশ ভেজানো জলের বেশ গুরুত্ব রয়েছে। এছাড়াও কোলেস্টেরল দূরে রাখে কিশমিশ।
6/7কিডনি, দাঁত, চুল- কিশমিশের ভেজানো জল কিডনির সমস্যা দূর করতেও সক্ষম। এমনকি, দাঁত ভালো রাখতে কিম্বা, চুলে জেল্লা এনে দিতে এই কিশমিশের গুরুত্ব বেশি।
7/7বেশি খাওয়া ঠিক নয়- বলা হচ্ছে, কিশমিশ বেশি খাওআ, বা কিশমিশ ভেজানো জল বেশি খেলেও সমস্যা হতে পারে। এতে ফ্যাটি লিভার, সুগার, পেট খারাপের মতো সমস্যা হয়। ফলে কিশমিশ বুঝে শুনে খেতে হবে। কোনও রোগ ইতিমধ্যেই শরীরকে অস্বস্তিতে রাখতে শুরু করলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে কিশমিশ খেতে হবে। ( ডিসক্লেমার- এই তথ্য প্রচলিত মান্যতা নির্ভর।)