তিসির তেল , যা ফ্ল্যাক্সসিড অয়েল বা ফ্ল্যাক্স অয়েল (এর ভোজ্য আকারে) নামেও পরিচিত, একটি বর্ণহীন থেকে হলদেটে তেল যা শণ গাছের শুকনো, পাকা বীজ থেকে পাওয়া যায় ( লিনাম ইউসিটাটিসিমাম )। তেল টিপে প্রাপ্ত হয়, কখনও কখনও দ্রাবক নিষ্কাশন দ্বারা অনুসরণ করা হয়।
তিসির তেল আমাদের শরীরের কোলেস্টেরলের মাএা কমাতে সাহায্য করে। খারাপ কোলেস্টেরল LDL কে উল্লেখযোগ্য হারে কমায় তিসির তেলে থাকা ALA (alpha linolenic acid)। এক গবেষণায় দেখা যায়, হাই- কোলেস্টেরল একজন রোগী। যদি প্রতিদিন এক চা-চামচ তিসির তেল গ্রহন করেন তাহলে ১২ সপ্তাহের মধ্যে কোলেস্টেরল এর মাএা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
তিসির তেলের পুষ্টি-গুণ
তিসির বীজ থেকে আমরা ফাইবার ও জিংক পেয়ে থাকি। তিসির তেলে তা নেই।
তিসির তেলের মূল পুষ্টি-গুণ হচ্ছে ওমেগা ফ্যাটি -৩ এসিড। যা আমরা সাধারণত মাছের তেল থেকে পেয়ে থাকি। এছাড়া আরও রয়েছে ALA( alpha linolenic acid), DHA, EPH এসিড, এন্টিঅক্সিডেন্ট, বিটা – ক্যারটিন, ভিটামিন -ই, কে, ফ্যাটি এসিড, লিপিড।
উপরোক্ত এসিড সমূহ প্রতিদিন একজন র্পূর্ণ বয়স্ক মানুষের ১১০০ মিলি গ্রাম প্রয়োজন হয়।
দৈনিক এক চা-চামচ তিসির তেল সেবন করার মাধ্যমে যা পাওয়া যাবে তা নিম্নরুপঃ
*১২০ ক্যালরি
*০.০১ গ্রাম প্রোটিন
*১৩.৬ গ্রাম ফ্যাট
*৭.৬ গ্রাম ওমেগা -৩ ফ্যাটি এসিড
*২.১ গ্রাম ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড
স্বাস্থ্য উপকারিতায় তিসির তেল
স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী তিসির তেল। নিয়মিত এই তেল সেবন করলে দেহের অনেক ক্ষতিকর জীবাণু বা মারাত্মক রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
তিসির তেলের গুরুত্ব নিম্নে দেওয়া হলঃ
-ওজন কমানোর জন্য
-কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
-ডায়রিয়া সমস্যার সমাধান
-ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই
-হার্ট ভালো রাখে
-সোগেনস হ্রাস করে
-কোলেস্টেরল কমায়
-ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ও ঝুঁকি কমায়
Share on Pinteres