পণ্য: চিনাবাদাম তেল
ওজন: ১০০ মিলি
চিনাবাদাম তেল (Peanut Oil) চুল ও ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী এক তেল। এতে বিদ্যমান চমৎকার পুষ্টি উপাদান ত্বক ও চুল ভালো রাখতে দারুণ ভূমিকা রাখে। এটি ত্বকের ময়েশ্চারাইজার হিসেবেও ভালো কাজ করে। চিনাবাদাম তেল মূলত চিনাবাদাম ভেঙ্গে, পিষে সেখান থেকে সংগ্রহ করা হয়।
চুল এবং ত্বকের যত্নের জন্য চিনাবাদাম তেলের উপকারিতা
চিনাবাদাম তেলের উপকারিতা
বাদাম তেল চুল এবং ত্বকের যত্নের জন্য একটি উৎকৃষ্টমানের তেল। এর শক্তিশালী পুষ্টি উপাদান এবং উপকারী বৈশিষ্ট্য চুল এবং ত্বক ভালো রাখতে চমৎকার কাজ করে। এটি শরীরের ত্বকের জন্য একটি চমৎকার ময়েশ্চারাইজার। উন্নতমানের চিনা বাদাম সংগ্রহ করে ভালো ভাবে পরিষ্কার করে সেটা ভেজে তারপর ভাঙিয়ে তেল করা হয়।
চিনাবাদামের তেলের উপকারিতা
১. বাদাম তেলে আছে ফ্যাটি অ্যাসিড। তাই এটি স্কিন এর যেকোনো চর্ম সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
২. বাদাম তেলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষমতা। এটি শরীরে শক্তির সঞ্চালন করে।
৩. বাদামে ভিটামিন-ই আছে। ভিটামিন-ই ত্বকের জন্য অতান্ত কার্যকারী। এটি সূর্যের হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে এবং ত্বককে ক্ষতি হওয়া থেকে রক্ষা করে।
৪. বাদাম তেল হলো প্রাকৃতিক ময়েশচারাইজার। এতে কোন কেমিক্যাল বা প্রিজেরভেটিভ নেই।
৫. বাদাম তেল দিয়ে মাংসপেশী ম্যাসেজ করলে তা মাংসপেশীর জন্য চমৎকার কাজ করে।
৬. বাদাম শরীরে ব্লাড সুগার এর ব্যালেন্স রাখে। তাই বাদাম তেল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক উপকারী।
শরীরকে সচল এবং রোগমুক্ত রাখতে যত ধরনের পুষ্টিকর উপাদানের প্রয়োজন পরে, তার বেশিরভাগই উপস্থিত রয়েছে বাদাম তেলে। তাই তো রোগ মুক্ত জীবন পেতে এই প্রকৃতিক উপাদানটিকে কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন। স্বাদে মিষ্টি এই তেলটিতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় উপকারি ফ্যাট, যা হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে কাজে আসে। সেই সঙ্গে রয়েছে ফাইবার, ভিটামিন এবং মিনারেল, যা নানা ভাবে শরীরের কাজে লাগে। প্রসঙ্গত, নিয়মিত এই তেলটি খাওয়া শুরু করলে যে যে শরীরিক উপকার পাওয়া যায়, সেগুলি হল…
১. খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়:
হার্টকে চাঙ্গা রাখতে একটা বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে যে রক্তে যেন খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কোনও ভাবেই বেড়ে না যায়। আর এই কাজটি করতে কাজে লাগাতেই পারেন বাদাম তেলকে। কারণ এই তেলটির অন্দরে উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর উপকারি কোলেস্টেরল বা এল ডি এল-এর মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, বাদাম তেলে থাকা ভিটামিন ই-ও এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই ভিটামিনটি হার্টের কর্মক্ষমতা এতটা বাড়িয়ে তোলে যে কোনও ধরনের কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।
২. ডায়াবেটিস রোগকে দূরে রাখে:
শরীরে যখন পর্যাপ্ত পরিমাণে ইনসুলিনের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়, তখনই রক্তে সুগার লেভেল বাড়তে শুরু করে। নানা কারণে এমনটা ঘটতে পারে। কিন্তু নিয়মিত যদি বাদাম তেল খেতে পারেন, তাহলে কিন্তু এমন ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখিন হওযার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। কারণ বাদাম এবং বাদাম তেলে উপস্থিত নানা উপকারি উপাদান কোনও ভাবেই রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে দেয় না। ফলে টাইপ- ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। আসলে বাদাম তেল খাওয়া মাত্র ইনসুলিনের উৎপাদন বাড়তে শুরু করে। ফলে ব্লাড সুগার লেভেল বেড়ে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই থাকে না।
৩. চুল ও বডি সফট করে:
চিনা বাদামের তেল চুল গুলা সফট করতে সাহায্য করে আরো অনেক গুনাগুন আছে চাইলে শরীরেও ব্যবহার করা যায় খুবই সুন্দর ভাবে বডি সফট করে ।
৪. কলোন এবং রেকটামের কর্মক্ষমতা বাড়ে:
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত বাদাম তেল খাওয়া শুরু করলে শরীরের অন্দরে ফাইবার এবং অন্যান্য উপকারি উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যা রেকটাম এবং কলোনের পাশাপাশি সামগ্রিকভাবে ডায়জেস্টিভ সিস্টেমের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে কলোন ক্যান্সারকে দূরে রাখতেও সাহায্য করে। প্রসঙ্গত, চিকিৎসকেদের মতে রোজের ডেয়েটে বাদাম তেলকে অন্তর্ভুক্ত করলে ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রমের মতো রোগের প্রকোপ কমে যেতেও সময় লাগে না।
৫. ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়:
স্ট্রেস, পরিবেশ দূষণ এবং অন্যান্য নানা কারণে কি ত্বকের হাল একেবারে বেহাল হয়ে গেছে? তাহলে তো বন্ধু আজ থেকেই রাত্রে শোয়ার আগে অল্প করে বাদাম তেল নিয়ে মুখে এবং সারা শরীরে লাগিয়ে ভাল করে মাসাজ করুন। দেখবেন ত্বকের হারিয়ে যাওয়া সৌন্দর্য ফিরে পেতে সময়ই লাগবে না। আসলে বাদাম তেলে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেটিভ প্রপাটিজ একদিকে যেমন অতি বেগুনি রশ্মির হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে, তেমনি ত্বকের বয়স কমাতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। প্রসঙ্গত, বাদাম তেলে উপস্থিত ভিটামিন এ, ব্রণর মতো ত্বকের রোগের প্রকোপ কমাতে যেমন সাহায্য করে, তেমনি ডার্ক সর্কেল এবং একজিমার মতো রোগের চিকিৎসাতেও বিশেষ ভূমিকা নিয়ে থাকে।