পণ্য: বোহেরা গুড়া
ওজন: ১০০ গ্রাম
Bohera Powder (বহেরা গুড়া)
বহেড়া Combretaceae পরিবারের Terminalia গণের এক ধরনের বনজজাতীয় গাছ। গাছের মূল নাম বহেড়া বা অক্ষ হলেও এর স্থানীয় নাম বয়ড়া। এই গাছের আদি নিবাস ভারতবর্ষে। এর বৈজ্ঞানিক নাম Terminalia belerica।
রাখি বহেড়ার খাওয়ার উপকারিতা ও গুনাগুন :
আমরা আজকে বহেড়া গাছের ফল, গাছের ছাল এবং বিভিন্ন উপকারি অংশ নিয়ে আলোচনা করবো। চলুন জেনে নেয়া জাক মানব জীবনের জন্য কি? কি? উপকারী হিসাবে কাজ করে থাকে।
১.আমাশয় ও ডায়রিয়া : আমাদের দেশে প্রায় লোকের দেখা যায় এই রোগ তবে বহেড়ার চুর্ণ এর সাথে পানি মিশিয়ে খেলে দ্রুত্ব উপশম হয়।
২.হৃদপিণ্ড ও যকৃত: মানব জীবনের জন্য এই রোগ একটি মারাত্মক। আর এই রোগ নিরাময়ের জন্যে বহেড়ার ফল নিয়মিত খেলে হৃদপিণ্ড এবং যকৃতে রোগের সংক্রমণ কমায়। এই রোগের জন্য বহেড়া বিরাট ভূমিকা রাখে।
৩.শ্বেতী রোগ: মানব সৃষ্টির মানুষের মধ্যে অনেক ধরনের হয়ে থেকে রাত মধ্যে শ্বেতী একটি রোগ। বহেড়ার তেল এই রোগের জন্য অনেক কার্যকারি। কেউ যদি বহেড়ার বিচির শাঁসের তেল বের করে শ্বেতী রোগীর উপর লাগালে গায়ের রং দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে উঠে।
৪.চুলের যত্নে বহেরা: বর্তমান সময়ে দেখা যায় যে অনেক মানুষের অল্প বয়সে চুল পড়ে এই বিষয় নিয়ে তারা খুবই চিন্তিত। তাদের আর চিন্তার কোন কারণ নেই। এই বহেড়ার ফলের ভিতরের বিচি বাদ দিয়ে শুধু ১০ গ্রাম ছাল নিয়ে পানি দিয়ে বেটে রশ করে এক কাপ পানিতে গুলে পানি ছেঁকে নিয়ে। তার পর সেই পানি দিয়ে চুল সুন্দর করে ধুয়ে ফেলুন। লাগাতারে কিছুদিন চুলে ম্যাসাজ করলে চুল ওঠা বন্ধ হয়।
৫.কৃমি রোগ: যাদের কৃমি রোগ আছে তাদের জন্য বহেড়ার বিচির ছাল এর উপকারিতা কাজে লাগবে নিশ্চয়। তবে জেনে নিন এই বিচির কার্যকারিতা। কাহারো যদি কৃমি রোগ হলে বহেড়া ফলের বিচি বাদ দিয়ে শাঁসের গুঁড়া এবং ডালিমের পাতার রসের সাথে মিশিয়ে সেবন করলে কৃমি দূর হবে।
৬.সর্দি: কম বেশি প্রায় মানুষের এই রোগ হয়ে থাকে। সে যদি বহেড়া চূর্ণ আধা চা-চামচ এবং সামান্য গরম ঘি মিশিয়ে পুনোরায় গরম করে মধু দিয়ে খেলে দ্রুত্ব স্ররদি নিরাময় হয়।
৭.ফোলা কমানোয়ঃ কেউ যদি আঘাত পেয়ে ফোলে যায় সেই ফোলা যায় গায় বহেড়ার গাছের ছাল বেটে একটু গরম করে ফোলা স্থানে প্রলেপ দিলে ফুলা কমে যায়।
৮.অনিদ্রা রোগে : বর্তমান সময় প্রায় লোকের অনিদ্রা রোগে ভুগতেছে। অনিদ্রায় রাতের পর রাত নির্ঘুম কেটে যায়? এখন থেকে চমৎকার ঘুমের জন্য বহেড়া খাওয়ার অভ্যাস গড়ুন।
এছাড়াও বহেড়া বিভিন্ন রোগের কাজ করে থাকে, পুরাতন সর্দি-কাশি এবং জ্বর দূর করতে সাহায্য করে থাকে। তার পর শ্বাসকষ্ট ও কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের কাজ করে থাকে। কেউ যদি নিয়মিত খেলেবেশ উপকার হয়।
বহেড়ার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
বহেড়া এক ধরনের ঔষধি ফল। বহেড়া ফল উপমহাদেশের প্রাচীনতম আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। বহেড়া বিশেষভাবে পরিশোধিত হয়ে এর ফল, বীজ ও বাকল মানুষের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে ও চিকিৎসায় ব্যবহার হয়। আসুন জেনে নেয়া যাক বহেড়া ফলের ঔষধিগুণগুলো-
হজমশক্তি বাড়াতে : বহেড়া হজমশক্তি বৃদ্ধিকারক। এ ফলের খোসা ভালো করে গুঁড়া করে নিন। পানির সঙ্গে এ গুঁড়া দিনে দু’বার খেয়ে যান। ক্ষুধামান্দা তাড়াতেও একই প্রণালী অনুসরণ করতে পারেন।
আমাশয় থেকে দূরে থাকতে : আমাশয়ে ভুগছেন? তাহলে প্রতিদিন সকালে বহেড়ার গুঁড়া মেশানো পানি খেয়ে যান। উপকার পাবেন।
হাঁপানি থেকে মুক্তি পেতে : বহেড়া বীজের শাঁস ২ ঘণ্টা অন্তর চিবিয়ে খেলে হাঁপানি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এ পদ্ধতি মেনে চলুন।
কৃমি নাশ করে : পেটে কৃমি হয়েছে? হাতের কাছে সমাধান হিসেবে বহেড়া রয়েছে।
ডায়রিয়া প্রতিকারে : ডায়রিয়া হলে বহেড়ার খোসা পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। অল্প মাত্রায় খেলে এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় না। তবে ডাক্তারের পরামর্শ মেনে খাওয়া উচিত।
অনিদ্রা রোগে : রাতের পর রাত নির্ঘুম কেটে যায়? এখন থেকে চমৎকার ঘুমের জন্য বহেড়া খেয়ে যান।
চুল পাকা প্রতিরোধে : ১০ গ্রাম পরিমাণ বহেড়ার ছাল পানি মিশিয়ে থেঁতো করে নিন। এ থেঁতলানো বস্তু এক কাপ পানিতে ছেঁকে নিন। এবার পানিটুকু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।