- নিম্ন রক্তচাপের জন্য বিট খাওয়া ক্ষতিকারক হতে পারে। এর কারণ, বিটে প্রাকৃতিকভাবে উচ্চ মাত্রার নাইট্রেট থাকে যা আপনার পরিপাকতন্ত্রকে নাইট্রিক অক্সাইডে রূপান্তরিত করে। এই উপাদানটি রক্তনালীগুলিকে শিথিল করে এবং প্রসারিত করে, যা রক্তচাপকে আরও কমিয়ে দেয়। তাই নিম্ন রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের বিট এড়িয়ে চলা উচিত। বিট আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ভারতীয়রা বিশেষ করে স্যালাডের সঙ্গে খেতে বেশি পছন্দ করেন। অনেকে আবার মিহি করে কুঁচিয়ে রান্না করে খেতে পছন্দ করেন। আসলে পটাসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি৬ এর মতো অনেক পুষ্টি উপাদান বিটে পাওয়া যায়, যা আমাদের সুস্থ থাকতে বেশি উপকার করে। বিটে আয়রন থাকায় চিকিৎসকরাও শরীরে রক্তের অভাব মেটাতে বিট খাওয়ার পরামর্শ দেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিটের উপকারিতা থাকলেও এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও (Beetroot Side Effects) রয়েছে। এমন কিছু অসুখে ভুগছেন এমন রোগীদের খাদ্যতালিকায় বিট এড়িয়ে চলা অবশ্যই দরকার। বিট আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। শীতকালে বিটের ফলন বেশি হয়, তাই বিট বেশি খাওয়া হয়। বিট রক্তাল্পতায় রক্ত বাড়াতে খুবই কার্যকরী। স্যালাড, সবজি এবং জুস বানিয়ে বিট আমরা খেয়ে থাকি। বিটে পটাসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি৬ এর মতো অনেক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়, যা আমাদের সুস্থ রাখতে প্রয়োজনীয়, তবে বিটরুটের উপকারিতা থাকলেও এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও (Beetroot Side Effects) রয়েছে। নির্দিষ্ট কিছু রোগে ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের খাদ্যতালিকায় বিট রাখার বদলে এড়িয়ে চলা উচিত। নিম্ন রক্তচাপের জন্য বিট খাওয়া ক্ষতিকারক হতে পারে। এর কারণ, বিটে প্রাকৃতিকভাবে উচ্চ মাত্রার নাইট্রেট থাকে যা আপনার পরিপাকতন্ত্রকে নাইট্রিক অক্সাইডে রূপান্তরিত করে। এই উপাদানটি রক্তনালীগুলিকে শিথিল করে এবং প্রসারিত করে, যা রক্তচাপকে আরও কমিয়ে দেয়। তাই নিম্ন রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের বিট এড়িয়ে চলা উচিত। কিডনিতে পাথর না থাকলে বিট খেলে কোনো বিপদ নেই। তবে, কারোর যদি অক্সালেটযুক্ত কিডনিতে পাথর থাকে তবে তাঁদের জন্য বিটরুট ক্ষতিকারক হতে পারে। আসলে, বিটে অক্সালেটের পরিমাণ অনেক বেশি, যার কারণে কিডনিতে পাথরের সমস্যা আরও গুরুতর হয়ে ওঠে। আপনি যদি পাথরের সমস্যায় ভুগছেন, তবে আপনার চিকিৎসক বিটরুট এড়িয়ে চলা বা পরিমিত পরিমাণে সেবন করার পরামর্শ দেন। বিটের রসে খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, পলিফেনল এবং অন্যান্য খাদ্যতালিকাগত ফাইবার-সহ পুষ্টির একটি ভাণ্ডার। কিন্তু এই পুষ্টি কিছু মানুষের অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। যার ফলে ত্বকে ফুসকুড়ি, আমবাত, চুলকানি, ঠান্ডা লাগা এবং জ্বর হতে পারে। অতএব, আপনার যদি বিটরুটে অ্যালার্জি থাকে তবে এটি কোনওভাবেই খাওয়া উচিত নয়। এটি আপনার অ্যালার্জি এবং ত্বকের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
বিট স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হলেও ডায়াবিটিস রোগীদের তা খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত (Beetroot Side Effects)। ডায়াবিটিস রোগীদের প্রায়ই স্নায়ুর ক্ষতির ঝুঁকি থাকে, যা অপরিবর্তনীয়। এই বিপদ ঠেকাতে হলে দরকার পরম যত্ন। বিশেষ করে ডায়াবিটিস রোগীরা বিট খেলে এর ফাইবার ভেঙে যায় এবং গ্লাইসেমিক লোড উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। হ্যাঁ, ডায়াবেটিস রোগীরা খুব অল্প পরিমাণে বিট বা বিটের রস খেতে পারেন। কারণ এতে উপস্থিত নাইট্রেট অক্সাইড উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে খুবই কার্যকরী।
এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। এটি কোনওভাবেই কোনও ওষুধ বা চিকিৎসার বিকল্প হতে পারে না। আরও বিস্তারিত জানার জন্য সর্বদা আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
- লিরেখা দূর করে।
- ব্রণ কমাতে সাহায্য করে।
- ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
- জুস/ শরবত হিসেবে খেলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
- ত্বকের যে কোনো প্রদাহ সারাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
- চুল পড়া প্রতিরোধ করে
- খুশকি দূর করে।
রসে টসটসে লাল-বেগুনি বিট নিজেই দেখতে এত সুন্দর যে রূপচর্চার ক্ষেত্রে বিটের ব্যবহারের কথা উঠলে কেউই উড়িয়ে দেবে না। এখনকার দিনে প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্যে চর্চাকে সারা বিশ্বেই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এক গাদা মেকআপের আবরণে নিজেকে ঢেকে না রেখে সুস্থ, সুন্দর, সজীব ত্বকের জয়জয়কার এখন সারা বিশ্বে। আর সঙ্গে বাড়তি পাওনা হিসেবে যদি ঘন, ঝলমলে এক ঢাল চুল থাকে, তবে তো সোনায় সোহাগা।
বিটে প্রাকৃতিক লাল রঞ্জক পদার্থ থাকায় ত্বক ও ঠোঁট রাঙাতেও অনেক মেকআপ কোম্পানি বিট চূর্ণ ব্যবহার করছে। আমাদের স্বাভাবিক ত্বক, রূপলাবণ্য আর চুলের বাহারকে আরও সুন্দর ও মোহনীয় করে তুলতে বিটের ব্যবহারগুলো দেখে নেওয়া যাক।
গোলাপি উজ্জ্বল ত্বক পেতে:বিটরুট পেস্ট করে মুখে এবং ঘাড়ে ঘষে ঘষে লাগান। ১৫ মিনিট অপেক্ষার পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এভাবে ব্যবহারে ত্বক হবে উজ্জ্বল গোলাপি।
ডার্ক সার্কেল দূর করতে:বিটরুটের পেস্টর সঙ্গে মধু এবং দুধ মেশান। এবার কটন বাড দিয়ে মিশ্রণটি চোখের চারপাশে লাগিয়ে নিন। ১০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করতে: বিটরুটের পেস্ট ঠোঁটে লাগান। চাইলে পেস্ট করা বিটরুটের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে ঠোঁটে ঘষতে পারেন। এতে মরা কোষ দূর হবে এবং ঠোঁট হবে কোমল।
চুল পড়া প্রতিরোধ করে:বিটরুটের পেস্ট চুলের গোড়া পর্যন্ত লাগিয়ে ধুয়ে নিন। হেয়ার মাস্কের জন্য পেস্টর সঙ্গে কফি মিশিয়ে ব্যবহার করুন। এটি কন্ডিশনার হিসেবেও ভালো কাজ করে।
মসৃণ ত্বক পেতে:বিটরুট পেস্টর সাথে ২ চামচ দই এবং সামান্য আলমন্ড অয়েল মেশান। মিশ্রণটি মুখ এবং শরীরে ম্যাসাজ করে নিন। ১০-২০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
বলিরেখা প্রতিরোধে: বিটরুট পেস্টর সঙ্গে মধু এবং দুধ মেশান। এই মাস্কটি সারা মুখে পাতলা করে লাগিয়ে নিন। সপ্তাহে এক বা দুই বার এই মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। এটি বলিরেখা প্রতিরোধে সহায়ক হবে।
খুশকি তাড়াতে:সামান্য ভিনেগার অথবা নিমের পানি বিটরুটের পেস্টে মেশান। মাথায় লাগানোর কিছুক্ষণ পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি খুশকি দূর করে চুল করবে মসৃণ এবং ঝরঝরে।
ব্রণ দূর করতে:বিটরুটের পেস্টের সঙ্গে সমপরিমাণ টমেটোর রস মেশান। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেডস দূর করতে সহায়তা করে।
বিটের ফেসপ্যাক:বিটের পেস্টর সঙ্গে চালের গুঁড়ো, দুধের সর, দই, গোলাপ জল অথবা মুলতানি মাটির মতো ক্লে মাস্ক মিলিয়ে ব্যবহার করলে ত্বকে টানটান ভাব ও লাবণ্যময় আভা ফুটে ওঠে। বিটের ভিটামিন সি কোলাজেনের আধিপত্য বাড়িয়ে ত্বককে সুস্থ-সুন্দর করে তোলে।
চুলের যত্নে বিটের রস: সরাসরি চুলের গোড়ায় নারকেল তেলে মিশিয়ে বিটর পেস্ট মেসেজ করতে হয়। খুশকিমুক্ত, মজবুত গোড়াযুক্ত চুল পেতে এই মেসেজ অনেক কার্যকর বলে অনেক স্যালন এক্সপার্ট মত দিয়ে থাকেন। চুল পড়াও কমে আসে বিট ব্যবহারে।