অশ্বগন্ধা কীভাবে কাজ করেঃ
● ১. অনিদ্রা দূর করে
● ২. স্ট্রেস কমায়
● ৩. কোলেস্টেরল দূর করে
● ৪. অশ্বগন্ধা কাম উত্তেজনা সৃষ্টিতে সহায়ক
● ৫. যৌ ন ক্ষমতা বাড়ায়
● ৬. রক্তে টেস্টোস্টেরনের মাত্র বাড়ায়
● ৭. সহনশীলতা বাড়ায়
কেন খাবেন অশ্বগন্ধা?
অশ্বগন্ধা এমন একটি ভেষজ যা নানা রোগের ওষুধের কাজ করে। এর ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকেই হয়ে আসছে। অশ্বগন্ধা মূলত ক্লান্তি, নানা ধরণের ব্যথা ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। অশ্বগন্ধার আরেক নাম এডাপ্টোজেন, এটি মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে।
অশ্বগন্ধা এমন একটি ভেষজ যা নানা রোগের ওষুধের কাজ করে।
বর্তমানে এটি সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় ভারত, পাকিস্তান, স্পেন, আফ্রিকা, মধ্য প্রাচ্য এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে। প্রাচীনকাল থেকেই এই গাছের ফল, বীজ, পাতা ও শিকড় আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
আরও পড়ুন: শসা খেলে মিলবে যেসব উপকারিতা
অশ্বগন্ধার উপকার বলে শেষ করা যাবে না। অনেক গুণ আছে এর-
অশ্বগন্ধার উপকারিতা
১. শুক্রাণু তৈরিতে অশ্বগন্ধা খুব ভালো কাজ করে। এ গাছের রস শক্তি যোগাতেও সাহায্য করে।
২. অশ্বগন্ধার গুঁড়া খেলে ভালো ঘুম হয়।
৩. এটি সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
আরও পড়ুন: বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা
৪. চোখের ব্যথা দূর করতে বিশেষ উপকারী এটি।
৫. হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অশ্বগন্ধা অনেক উপকারী। পেট ফাঁপা এবং পেটের ব্যথা নিরাময় সহ যকৃতের জন্য ভীষণ উপকারী অশ্বগন্ধার ফল। তবে অশোধিত অশ্বগন্ধা গুঁড়ো বা পাউডার হজমে গোলমাল সৃষ্টি করতে পারে।
৬. অশ্বগন্ধায় অ্যানজাইলটিক উপাদান উপস্থিত থাকে বলে এটি মানসিক চাপকে কমিয়ে ফেলতে সাহায্য করে।
৭. অশ্বগন্ধা শরীরে টেস্টোস্টেরন ও প্রোজেস্টেরনের পরিমান বাড়াতে পারে। প্রাচীনকাল থেকেই ছেলেদের যৌনসমস্যা দূর করতে অশ্বগন্ধা ব্যবহার করা হয়।
আরও পড়ুন: কলার উপকারিতা ও অপকারিতা
৮. অশ্বগন্ধায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান থাকার ফলে এটি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অনেক সাহায্য করে।
৯. হাইপোথাইরয়েডের অর্থাৎ যাদের শরীরে থাইরয়েড হরমোনের পরিমান কম থাকে তাদের এই সমস্যা দূর করতে ব্যবহৃত হয় অশ্বগন্ধা। শরীরে থাইরক্সিন হরমোনের পরিমান বাড়ায় এই অশ্বগন্ধা।
আরও পড়ুন: কেন খাবেন থানকুনি পাতা?
১০. আর্থ্রাইটিস এর ব্যথার তীব্রতা কমাতে অশ্বগন্ধার গুঁড়ো খুবই উপযোগী। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে আর্থ্রাইটিস সারাতে অশ্বগন্ধা ব্যবহৃত হয়।
শক্তিবর্ধক: এ গাছের রস শক্তিবর্ধক। পুরুষের শুক্রাণু বাড়াতে বেশ কার্যকর। অশ্বগন্ধার মূল ও পাতা স্নায়ুবিক বিভিন্ন রোগে উপশম আনে। দুধ ও ঘিয়ের সঙ্গে পাতা ফুটিয়ে খেলে শরীরে বল পাওয়া যায়। ইনসমনিয়ায় বা অনিদ্রায় ভুগলে অশ্বগন্ধা উত্তম ওষুধ হিসাবে কার্যকর হতে পারে।[১১]
- ভালো ঘুমের জন্য অশ্বগন্ধা গুঁড়ো চিনিসহ ঘুমানোর আগে খাওয়া যেতে পারে। সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পেতে অশ্বগন্ধার মূল গুঁড়ো করে খাওয়া যেতে পারে। চোখের ব্যথা দূর করতে অশ্বগন্ধা বিশেষ উপকারী।
- ক্রনিক ব্রংকাইটিসের ক্ষেত্রেও অশ্বগন্ধা একটি কার্যকর ওষুধ। অশ্বগন্ধার মূল অন্তর্ধুমে পুড়িয়ে (ছোট মাটির হাঁড়িতে মূলগুলো ভরে সরা দিয়ে ঢেকে পুনঃমাটি লেপে শুকিয়ে ঘুটের আগুনে পুড়ে নিতে হয়। আগুন নিভে গেলে হাঁড়ি থেকে মূলগুলো বের করে গুঁড়ো করে নিতে হয়) ভালো করে গুঁড়িয়ে নিয়ে আধা গ্রাম মাত্রায় একটু মধুসহ চেটে খেলে ক্রনিক ব্রংকাইটিসে উপকার হয়।
- মানসিক ও শারীরিক দুর্বলতা, যেমন মাথা ঝিমঝিম করে ওঠা, সংজ্ঞাহীনতা, অবসাদ প্রভৃতি দূর করে অশ্বগন্ধা। মনোযোগ বাড়ায়। ক্লান্তি দূর করে সঞ্জীবনী শক্তি পুনরুদ্ধার করে।
- অশ্বগন্ধার ফল অম্বল-অজীর্ন, পেট ফাঁপা এবং পেটের ব্যথা নিরাময় সহ যকৃতের জন্য ভীষণ উপকারী। হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে অশোধিত অশ্বগন্ধা গুঁড়ো বা পাউডার হজমে গোলমাল সৃষ্টি করে। এর ফলে তলপেটে ব্যথা উঠতে পারে। সুতরাং যাদের হজমশক্তি দুর্বল, তাদের অবশ্যই ভালো মানের অশ্বগন্ধা সেবন করতে হবে।